পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (চতুর্থ খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রাজা তিলক বসন্ত
৩৮১

রাণীর কাঁদনে দেখ দইরার বাড়ে পানি।
উজান পথ ভাইঙ্গা চলে চৌদ্দ ডিঙ্গা খানি॥
হেন কালেতে সুলা রাণী কোন্ কাম করিল।
করম ঠাকুরের কথা মনেত পড়িল॥
কাইন্দা কাইন্দা কয় ঠাকুর ধর্ম্ম গেল মোর।
পরপুরুষে অঙ্গ ছইল আমার॥
কুড়িকুষ্ট[১] হউক অঙ্গ যাউক গলিয়া।
মনে রাখ ওহে বিধি এহি বর দিয়া॥
যদি আমি সতী হই পতি পদে মতি।
অবশ্য ফলিব বাক্য না হইব অন্যতি॥
যদি আমি সতী হই ধর্ম্মে থাকে মন।
তেইমত এ চৌদ্দ ডিঙ্গার হউক বিড়ম্বন॥”

অকাট্যা সতীর কথায় পরমাদ পড়িল।
আরবার চৌদ্দ ডিঙ্গা চড়াতে ঠেকিল॥
কুড়িকুষ্ঠি গল্যা পড়ে সোণার বরণ।
দেখিয়া পাইল ভয় যত মাঝি মাল্লাগণ॥
“এ কন্যা মুনুষ্যি নয় সাধু শুন মন দিয়া।
এই বনে ফালাইয়া চল দেশে ডিঙ্গা বাইয়া॥”
এতেক ভাবিয়া সবে কোন্ কাম করিল।
বনে ত এড়াইয়া কন্যা উজান চলিল॥ (১-১১৫)

(৫)

সন্ধ্যা বেলা আইল রাজা হাসিখুসি মন।
“সুলা সুলা” বলিয়া ডাকয়ে ঘন ঘন॥

  1. কুড়িকুষ্ট=কুষ্ঠব্যাধি