পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (তৃতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩১

م/عمالا যে গান না হইলে সমস্ত উৎসব মাটী হইয়া যাইত, সেই সকল গান কোথায় গেল ? শ iq। আমরা অষ্টন শতাব্দীতে কালিমপুরের অনুশাসনে উৎকীর্ণ লিপিতে পাইতেছি, রাজা ধৰ্ম্মপাল সম্বঞ্চে যে পল্লীগীতিক রচিত হইয়াছিল, তাহা বনচারী রাখালরা, গ্রামোপকণ্ঠে ক্ৰীড়াশীল বালকরা, দিব্যাবসানে কৰ্ম্মক্লান্ত বিপণি-স্বামীরা এবং আমোদপ্ৰিয় ব্যক্তিরা সর্বদা গান করিত ; এমন কি, পিঞ্জরাবদ্ধ বিহঙ্গাদিগকেও সেই গান শিখান হইত, তাহারা ললিত কাকলী। দ্বারা মহারাজ ধৰ্ম্মপালের কীৰ্ত্তিকথা উচ্চারণ করিত। দশম শতাব্দীতে উৎকীর্ণ বাণগড়ের মহীপালের তাম্রশাসনে মহারাজ রাজ্যপাল সম্বন্ধেও সেইরূপ পল্লীগীতিকার উল্লেখ আছে। যোগিপাল, ভোগিপাল ও মহীপাল সম্বন্ধে ঐ ভাবের গীতিকার কথা চৈতন্য-ভাগবতে পাওয়া যায়, তাহা পুর্বেই উল্লেখ করিয়াছি। বঙ্গীয় “রাজমালায়” আমরা “লক্ষণমালিকা”র উল্লেখ পাই, এই “লক্ষণমালিকা” ও লক্ষণসেনের সম্বন্ধে কোন গীতিকা বলিয়াই মনে হয়। সেক শুভোদয়া পুস্তকে আমরা রামপালদেব সম্বন্ধে পালাগানের উল্লেখ পাইয়াছি। রামপাল একাদশ শতাব্দীতে বিদ্যামন ছিলেন এবং ইনিই পরদার-অপহারক একমাত্র পুত্রকে শূলে প্ৰাণদণ্ড দেওয়ার আদেশ দিয়া ন্যায়ের অবতার বলিয়া জনসাধারণ কর্তৃক পূজিত হইয়াছিলেন। পত্রিপুরার রাজমালা গ্রন্থে ধন্যমাণিক্য ও তৎপত্নী কমলা দেবী এবং পরবর্তী রাজা অমরমাণিক্য সম্বন্ধে পালাগানের উল্লেখ দৃষ্ট হয়। মহারাজ ধন্যমাণিক্য ত্ৰিহুত হইতে নৰ্ত্তক ও গায়ক আনাইয়া এই সকল গান কি ভাবে গাহিতে হইবে, তাহা শিখাইবার ব্যবস্থা করিয়াছিলেন। যে বিখ্যাত দস্যপতি সমস্ট্রের গাজি ত্রিপুরেশ্বরকে পরাস্ত করিয়া অষ্টাদশ শতাব্দীতে কয়েক বৎসরের জন্য ত্রিপুরার রাজ-সিংহাসন অধিকার করিয়াছিলেন, তাহার হত্যার অব্যবহিত পরে রচিত তৎসম্বন্ধীয় পালাগান আমরা সংগ্ৰহ করিয়াছি। * ঈসা খাঁ মসনদ আলি, যিনি আকবরের সেনাপতি মানসিংহকে কয়েকবার পরাভূত করিয়া বারভুঞার মধ্যে শ্ৰেষ্ঠ আসন গ্ৰহণ করিয়াছিলেন, তিনিও অনেক পালাগানের প্রধান নায়ক,-ৰ্তাহার বংশধর মনুর খাঁ দেওয়ান ও ബr موجب محبی مهحت ফিরোজ খাঁ দেওয়ান সম্বন্ধে বহু পালাগান প্রচলিত আছে। তাহার কতক