পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (তৃতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূমিকা R ও শূদ্র এক হইয়া গিয়াছিল। কি ভাষা কি ভাব সমস্ত দিক বিচার করিলে আমার মনে হয় শ্যাম রায়ের পালা সেই ত্ৰয়োদশ ও চতুৰ্দশ শতাব্দীর দিগ্বিজয়ী প্ৰেম-মহিমার একটা সুর বহন করিয়া আনিয়াছে । শ্যাম রায়ের কৰি খুব সম্ভব চণ্ডীদাসের সমকালবৰ্ত্তী ছিলেন। ইহার পরের যুগে ব্ৰাহ্মণের। সহজিয়ার গলা টিপিয়া মারিতে চেষ্টা করিয়াছিলেন এবং শাস্ত্ৰবচনের কণ্টকাকীর্ণ প্রাচীরের মধ্যে অবাধ ভালবাসার গতি একেবারে থামাইয়া দিয়াছিলেন। সুতরাং এই ভাবের পালাগান ষোড়শ শতাব্দীর । পরে আর রচিত হয় নাই । বরঞ্চ মহুয়া, ধােপার। পাট, মঞ্জুর মা, স্যাম রায় প্রভৃতি পালার এক কালে যে বিশেষ আদর ছিল, তাহা এই গত দুই শতাব্দীর মধ্যে একেবারে নষ্ট হইয়া গিয়াছে। এখন এই সব পালা আর श्रृश्श्। DDDB DBDSDS S BDD SLLBDBDK BDB DBSS BBBDBDDBD BBBDBD বাঁটা দিয়া সাফ করিয়া ভদ্রপল্লীর গণ্ডী হইতে দূর করিয়া দিয়াছে। নেড়ানেড়ীরা সহজিয়ার উচ্চগ্রাম হারাষ্টয়া ফেলিয়া এখন একান্ত বেসুর ভাবে তাহার চর্চা করিতেছে । মহুয়া ও ধোপার পাটে চরিত্র ও ঘটনাগুলিতে যেরূপ বৈচিত্ৰ্য দেখিতে পাওয়া যায় শ্যাম রায়ের পালায় ওই সব গুণ ততটা নাই । তবে এই পালাটির বিশেষত্ব ইহার করুণ বিলাপাত্মক সুরটি। কবি সংস্কৃত সাহিত্য হইতে উপমা সংগ্ৰহ করেন নাই । তাহা কোথা হইতেই বা করিবেন ? তিনি ছিলেন নিরক্ষর। লাঙ্গল জোয়াল লইয়া ভূমিকৰ্ষণ করাই ছিল তাঁহার কাজ। এই ভূমিই ছিল তাহার একমাত্র দর্শনীয় ও উপভোগ্য সামগ্ৰ। ভূমিজ পুষ্পের ন্যায় ভূমিকে আশ্রয় করিয়াই তাঁহার কবিত্ব উৎপন্ন হইয়াছিল। বঙ্গদেশের পাড়াগায়ের এমন ফুলটি নাই, এমন লতাপাতা নাই, যাহা তিনি । প্রেমের চক্ষে না দেখিয়াছেন। তাহার অজস্র উপমা বাঙ্গলাদেশের শত শত খুঁটিনাটি জিনিষ অবলম্বন করিয়া বিকশিত হইয়াছে। বাঙ্গলার পাড়াগায়ের রমণীর কথায় কথায় তাহদের দেশজ কত উপমা ছড়াইয়া যান, এবং তােহাঁ কত মধুর এই শ্যাম রায়ের পালা পড়িলে তাহার উপলব্ধি হইবে। বাঙ্গলা ভাষা সুধার ন্যায় মিষ্ট কথার উৎস। ইহা প্রেমের কথার খনি বিশেষ। ইহা মৰ্ম্মের কাহিনী সূক্ষ ভাবে বিশ্লেষণ করিয়া দেখাইতেছে ; সে যুগের