পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (তৃতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৫১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

se ভূমিকা ७8, ७ ; ७७, ३ ; ७२, ७० ; १२, »१; »8¢, » ; •8”, é ; »8”, »७: ১৪৯, ৩ ; ১৫০, ৪-সংখ্যার প্রতি বিশেষরূপে দৃষ্টি আকর্ষণ করিতেছি। বৈষ্ণব-পদে ও কীৰ্ত্তনে ইহাদের অনুরূপ বহু পদ পাওয়া যাইবে । ইহা ছাড়া ‘সোলেমানের গানের” অনেক কথা বৈষ্ণব-পদাবলীর, এমন কি এই গোপিনী-কীৰ্ত্তনেও পাওয়া যাইবে । সুধী পাঠকের এই সমস্যার সমাধান করা একটা গুরুতর কৰ্ত্তব্য । অবশ্য “গ্রাউজ” (Growse) প্ৰভৃতি পণ্ডিতেরা এই বিষয় লইয়া সামান্যরূপ আলোচনা করিয়াছেন, কিন্তু এখনও কোন পূর্ণাঙ্গ বিচার হইয়া যায় নাই। সুলার কলঙ্কভঞ্জনের অধ্যায়টি বিশেষরূপ উপাদেয়। ভগবানকে যে প্ৰাণ দিয়া ভালবাসে। অথচ মুখে কথাটি নাই—অপরদিকে যে আচার-বিচার লইয়া চীৎকার-ফুৎকার পূর্বক ধৰ্ম্মের মূল সূত্রটি ভুলিয়া যায়, এই উভয় শ্রেণীর প্রকৃত বিচার ভগবান নীরবে করিয়া থাকেন। দুৰ্ভেদ্য প্ৰহেলিকার মত কলঙ্কভঞ্জনের আখ্যায়িকার রূপকে এই তত্ত্বটি বঙ্গীয় বৈষ্ণব-কবিরা উপস্থাপিত করিয়াছেন । এই সব পৌরাণিক গল্পকে অলৌকিক বলিয়া উড়াইয়া দিলে চলিবে না ; ইহার ভিতরে একটা গুঢ় মৰ্ম্মকথা আছে ; সেটি কি, বুঝিতে হইবে । অলৌকিক গল্পে ত চক্ষু অশ্রাতে আর্দ্র হয় না, মন এমন করিয়া কঁাদিয়া উঠে না। আরব্যোপন্যাস পাঠ করিলে বালকদের মনে উৎসাহ, কৌতুক ও স্ফৰ্ত্তি বাড়িতে পারে, কিন্তু কলঙ্ক ভঞ্জন পড়িয়া মন করুণায় ভাসিয়া যায়। সুলা গায়েনের কবিতাটি পাঠ করিলে পাঠক এই কথাটি হৃদয়ঙ্গম করিবেন। ‘গোপিনী-কীৰ্ত্তন’ পালাটি মৈমনসিংহের জমিদার, বিজয়নারায়ণ আচাৰ্য্য মহাশয় কর্তৃক সংগৃহীত হইয়াছে। তিনি সুলা গায়েনের জীবনীর উপকরণ দিয়াছিলেন ; চন্দ্ৰকুমার দে মহাশয় এই সংগ্ৰহ আমাকে পাঠাইয়াছেন। শ্ৰীদীনেশচন্দ্ৰ সেন ।