আসমান্ জুড়্যা কালা মেঘ উড়্যা উড়্যা যায়।
নীলাম্বরী পর্যা কন্যা জলের ঘাটে যায়[১]॥৬
নদীতে উঠে খৈয়া ঢেউ লীলুয়ারী বাতাসে।
মৈষাল শুইয়া ভাবে কন্যার দীঘল লম্বা কেশে॥৮
জলের উপর পউদের ফুল চারিদিকে পাতা।
মৈষাল ভাবে কন্যার মুখ পিউরী[২] দিয়া গাঁথা॥১০
ভাবিয়া চিন্তিয়া মৈষাল হইল পাগল।
কার মইষ কেবা রাখে ঘটিল জঞ্জাল॥১২
এক দিনের কথা সবে শুন দিয়া মন।
বাথানের মইষ গিয়া খাইল বাঁকের ধান॥১৪
ধুপুরিয়া[৩] সংবাদ কয় জমীদারের আগে।
বাঁকের যত ধান খাইছে বলরামের মইষে॥১৬
হাতে লাঠি পাইক পেয়দা বলরামের বাড়ী।
শীঘ্রি কইরা চল যাই রাজার কাচারি॥১৮
কান্দ্যা কান্দ্যা যায় বলরাম না দেখি উপায়।
শীতলমন্দির ঘরে কান্দে সাজুতীর মায়॥২০
সাজুতী সুন্দরী কান্দে আউলাইয়া[৪] কেশ।
আইজ হইতে বাপের আশা হইল বুঝি শেষ॥২২
দেউরী ঘরে[৫] বলরাম হইল হাজির।
চারিদিকে কুছামারা[৬] বড় বড় বীর॥২৪
এইরূপে রইল বলাই বন্দীখানা ঘরে।
এথা শুন ডিঙ্গাধর কোন কাম করে॥২৬
পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (দ্বিতীয় খণ্ড দ্বিতীয় সংখ্যা) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৫৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মইষাল বন্ধু
৪৩