বাইশ দাঁড় বাইয়া যায় সুর্ম্মাই নদী দিয়া।
নজর কইরা ডিঙ্গাধরে লইল তুলিয়া॥১৪
আছে কি না আছে জিউ[১] নাকে নাই সুয়াস[২]।
পুবাল্যা[৩] ব্যাপারী কয় নাই জীবনের আশ॥১৬
কতদিনে ডিঙ্গাধর পরিসুস্থ[৪] হইল।
পুবাল্যা ব্যাপারীর স্থানে বচ্ছর গুয়াইল॥১৮
বাপ হইল পুবাল্যা পুত্ত্র ডিঙ্গাধর[৫]।
পুবাল্যা কয় বাপু এই তোমার বাড়ী ঘর॥২০
পুত ক্ষেত নাই মোর সাত ডিঙ্গা ছাড়া।
বাণিজ্যি করিয়া যাই দেশ বিদেশ খুড়া॥২২
উত্তর্যা[৬] বাতাস লাগ্যা পুবাল্যা যে মরে।
সাত ডিঙ্গা ধান তার পাইল ডিঙ্গাধরে॥২৪
দেশে চলে ডিঙ্গাধর সুর্ম্মাই নদী বাইয়া[৭]।
বার দিনে হাজির হইল নিজের দেশে যাইয়া॥২৬
চৌখণ্ডী[৮] করিয়া তবে শিঙ্গাখালীর পারে।
বড় বড় ঘর বান্ধে দক্ষিণ দুয়ারে॥২৮
তবে ডিঙ্গাধর সাধু কোন কাম করিল।
সাজুতি কন্যার কথা মনেত পড়িল॥৩০
পাঁচ বচ্ছর গোঁয়াইল দেশ বিদেশ ঘুড়ি।
কেমনে কোথায় আছে সাজুতী সুন্দরী॥৩২
হৈছে কি না হৈছে বিয়া আছে কি না আছে।
একদিন তার কথা মনে নি পইরাছে॥৩৪
পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (দ্বিতীয় খণ্ড দ্বিতীয় সংখ্যা) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৫৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মইষাল বন্ধু
৪৭