বাড়িয়া দারুণ বেলা হইল দুই পর।[১]
হাতে বাঁশী মাথায় টুপ[২] অচিনা নাগর॥৪৪
একেলা আছিলাম ঘরে হইলাম দুইজন।
জল ঘাটে কাল বিধাতা নির্ব্বন্ধের মিলন॥৪৬
লাজেতে হইল কন্যার রক্তজবা মুখ।
পরথম যৈবন কন্যার এই পরথম সুখ॥৪৮
ফুলের উপরে যেন ভমরার দংশন।
পরথম যৈবনে কন্যার পরথম মিলন॥৫০
আনিল ঘড়ুয়া কলসী তুলিয়া মইষালে।
ভরন্ত কলসী কন্যা লইল কাঁকালে[৩]॥৫২
কে তুমি সুন্দর কোমার[৪] না দেখি না চিনি।
বিপদ কালেতে মোর বাঁচাইলে পরাণী॥৫৪
তোমার হাসি তোমার বাঁশী তোমার বাঁশীর গান।
শুনিতে কাড়িয়া লয় নিলোভার[৫] প্রাণ॥৫৬
পরিচয় কথা কন্যালো তোমারে জানাই।
ঐ পারের মইষাল আমি মইষ রাখ্যা খাই॥৫৮
মেঘে ভিজি রৌদ্রে পুড়ি মইষের বাতানে।
আপনার দুঃখের গান গাই আপনার মনে॥৬০
আজি হইতে হিজল বনে থাকবাম আমি বইয়া[৬]।
জলের ঘাটে আইস তুমি কলসী লইয়া॥৬২
এক পারে থাক্বাম আমি আর পারে তুমি।
কেবল দেখিয়া যাইবাম[৭] চক্ষেরি চাহনি॥৬৪
অষ্ট আঙ্গুল বাঁশের বাঁশী মধ্যে মধ্যে ছেদা।
আর দিন বাজিতে বাঁশী বলে রাধা রাধা॥৬৬
পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (দ্বিতীয় খণ্ড দ্বিতীয় সংখ্যা) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৭৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬৪
পূর্ব্ববঙ্গ গীতিকা