নয় দণ্ডের এক দণ্ড মাত্র বাকী আছে।
কি জানি দৈবের শাপ ফলে তারি পাছে॥১৬
কি জানি সাগরে ডুবে চইদ্দ খানি নায়।
ভাবিয়া চিন্তিয়া সাধু না দেখে উপায়॥১৮
মনে মনে ভাবি সাধু মন মত্ত হইল।
অর্দ্ধ দণ্ড থাক্তে সাধু পরতিজ্ঞা করিল॥২০
এর মধ্যে যার মুখ দেখিবাম[১] কাছে।
তার কাছে দিবাম কন্যা কপালে যা আছে॥২২
কপালে থাকিলে দুঃখ খণ্ডান না যায়।
দুঃখের কপাল যার কি করিব বাপ মায়॥২৪
এমন সময় এক ভিখারী বামুন আসিয়াই সেই সদাগরের কাছে হাজির হইল।
(৫)
অতি বৃদ্ধ বুড়া সে যে লড়িত[২] করি ভর।
কাকালে করিয়া আনে একটি কোঙর[৩]॥২
ছয় মাসের শিশু অন্ধ দুই আঁখি।
খারা আছে ভিক্ষাসুর[৪] মুষ্টি অন্নের খাকী[৫]॥৪
লাগিয়া আতুর দশা[৬] মরছে বরামণি[৭]।
অন্ধ শিশু রাইখ্যা গেছে জ্বলন্ত আগুনি[৮]॥৬
এইত কাল ব্রাহ্মণের দুঃখে দুঃখে যায়।
পরকালের লাগ্যা ঠাকুর চিন্তয়ে উপায়॥৮
ভাবিয়া চিন্তিয়া ঠাকুর কোন কাম করে।
অন্ধ পুত্ত্রে লইয়া আসে সাধুর গোচরে॥১০