মাথার দিঘল কেশ পাও বাইয়া পড়ে।
তারা[১] ভুরু আঁকে কুমার এক এক করে॥১২
তবে ত আঁকিল তার চিক্কণ কাকালি।
সর্ব্বাঙ্গ আঁকিল কন্যার কদম্বের কলি॥১৪
দেখিয়া কন্যার রূপ কুঞ্জমালা মনে।
ভাবিয়া চিন্তিয়া তবে কয় প্রভুর স্থানে॥১৬
(১৫)
বাপের কাছে কুঞ্জমালা আসিয়া কইল, আমার একজন দাসী চাই। সে এরকম[২] সুন্দর হওন চাই। রাজা তখন বাজারে ঢোল্ পিটাইয়া দিল। সকলেই বলাবলি করিতে লাগিল যে, কুঞ্জমালার জন্য রাজা যে দাসী আনিয়াছে সে হয়ত কোন রাজকন্যা, বিপাকে পড়িয়া রাজার কন্যা হইয়া দাসী হইয়াছে। সেই দিন কুঞ্জমালা কুমারের আঁকা ছবির সঙ্গে মিলাইয়া দেখ্ল যে, এই কন্যাই সে কাঠুরিয়া কন্যা কাঞ্চনমালা।
দুরন্ত ভাবনায় মন উঠাপড়া করে।
খাল কাটিয়া কেন আনিলাম কুম্ভীরে॥২
বেগান[৩] দুষ্মণ কেন আনিলাম তুলি।
বনেতে আছিল ভাল বনের ভেওলী॥[৪]৪
আস্মানের চান যেমন মেঘেতে ঢাকিল।
সতীন ঘরে দেইখ্যা কন্যা দুঃখিত হইল॥৬
কেন দুঃখিত হইল তার কারণ শুন মন দিয়া।
কুমারের সঙ্গে যখন কুঞ্জলতার হইল বিয়া॥৮
তখন ছিল একদিন আর এখন একদিন।
সুখের দিন চইল্যা গিয়া আইছে দুঃখের দিন॥১০