দৈবের লিখনেতে আইলাম এই দেশ।
জন্মকথা এই কইয়া করিলাম শেষ॥৩৮
(১৮)
সরল মনেতে কইল গরল উঠিল।
কুঞ্জমালা এই কথা মায়ের আগে কইল॥২
শোন গো দরদী মা দুষ্কিনীর কথা।
কালি নিশিতে মনে পাইলাম বড় ব্যথা॥৪
বুকেতে বিন্দিয়া শেল পৃষ্ঠেতে বাহির হইল।
এক এক করি মায়ে সকল কহিল॥৬
সতীন আইল ঘরে হইল সর্ব্বনাশ।
সাপের সঙ্গতি যেন হইল গিরবাস[১]॥৮
যে নারীর সতীন ঘরে তার নাই সুখ।
বিধাতা লেইখ্যাছে তারে জন্মভরা দুখ॥১০
পালঙ্কে শুইলে যেন কাটা ফুটে গায়।
হাজার সুখে থাকলে তবু সুখ নাহি পায়॥১২
ঘরেতে আগুন লাগলে পুইরা করে ছাই।
সতীন থাকিলে ঘরে জন্মে সুখ নাই॥১৪
সতীনের দুখের কথা কইতে না যুয়ায়[২]।
একের সুখের কপাল আরে লইয়া যায়[৩]॥১৬
তখন মায়ে ঝিয়ে যুক্তি কইরা কাঞ্চনমালাকে বনবাসে দিবার জন্য মন্ত্রণা করিতে লাগ্ল। কাঞ্চনমালার দুষ্কের কপাল। এর মধ্যে হইল কি,— কুঞ্জলতার বাপ, দেশের রাজা, মরিয়া গেল। তার কয়েকদিন পরে রাজার যে পাটহাতী[৪] সেও মরিয়া গেল। ফুলকুমার শিকার করিয়া দেশে আসিবার পূর্ব্বেই দেশ জুইড়া রটনা হইল যে ডাকুনি[৫] কন্যা দেশে আসিয়াছে।