“থাপড়ে নিবাবরে নীল্যা তোমার দশ কোঠার বাতী।
দালানে পাছড়ায়ে মারব তোমার গজমোতী হাতী॥
দাওয়ায়্যা[১] দিব নীল্যা তোমার এ পাইক প্রহরী॥
হেলিয়া কঙ্কণ মাঞ্জা নারে সয় তোমার টান।
যেমন লঙ্কা ধাওয়ায়্যা আসে বীর হনুমান॥
তার[২] দিব তরু[৩] দিবরে পায়েতে পাশলী।
গলেতে তুলিয়া দিব নীল্যা সুবর্ণ হাসলী॥
কাণে দিব কর্ণফুল হারে নাকে সোণার বেশর।
(ওরে) আরও কর্ম্ম কুইচ্যারে দিব যেমন ভ্রমরা পাগল॥”
“পাক দিয়া ফেলবরে সাধু তোমার অষ্ট অলঙ্কার।
তোমার মার নাম হৈল দোচারিণী যেমন বাপ তোমার গোয়ার॥”
“য়্যাও মাস গ্যালরে নীলা হারে সামনে বৈশাখ মাস।
তোমার যৌবন বাসরে নীল্যা না পুরিল আশ॥”
“এহি ত বৈশাখ হারে মাসে কিষাণ বাছে হুড়া।
(ওরে) বাহনে বাওয়া দিচ্ছে এ জালি কুমুড়া[৪]॥”
“জালি কুমড়া খাইতেরে সাধু মনে করছাও আশ।
(যদি) জালি কুমড়া খাওরে সাধু তোমার মুখে ভাঙব বাশ॥”
“এহি ত জ্যৈষ্ঠ মাসে হারে গিরিষ্যির বাও।
ওরে দক্ষিণ দুয়ার দ্বারে তুমি আওল্যাইও কৈল ক্যাশ॥
পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (দ্বিতীয় খণ্ড দ্বিতীয় সংখ্যা) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৫১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নীলা
১৩৫