একদিন দুই দিন তিন দিন যায়।
গণিতে গনার দিন আর না ফুরায়॥ ৩৪
সাধুর লাগিয়া কন্যা আছে আশার আশে।
পাষাণ হইয়া সাধু গিয়াছে বৈদেশে॥
বস্ত্র[১] নাহি পরে কন্যা নাহি বান্ধে কেশ।
দিনে দিনে হইল কন্যার পাগলিনীর বেশ॥ ৩৮
আছিল সোনার তনু মৈলান[২] হইল।
মদন সাধুর লাগ্যা কন্যা কত বা কান্দিল॥
মেঘের বরণ কেশ কন্যার হইল পিঙ্গল ছটা।
তৈল নাহি দেয় কন্যা কেশে বান্ধল জটা॥ ৪২
উন্মত্ত[৩] যৌবনে কন্যা সাজিল যোগিনী।
তারে দেখ্যা পাড়াপড়শী করে কানাকানি॥
কপাট খাটিয়া[৪] কন্যা একেলা মন্দিরে।
পুষ্পের পালঙ্কে শুইয়া খালি চিন্তা করে॥ ৪৬
সাধুর লাগিয়া কন্যা আছে আশার আশে।
পাষাণ হইয়া সাধু গিয়াছে বৈদেশে॥ ৪৮
সেওত পুষ্পের পালঙ্ক কাঁটা বন হইল।
পালঙ্ক ছাড়িয়া কন্যা আইঞ্চল পাত্যা[৫] শুইল॥
ঘুমাইয়া স্বপন দেখে সাধু আইল ফিরি।
স্বপন দেখিয়া কন্যা উঠে তাড়াতাড়ি॥ ৫২
উইড়া যাওরে শ্যাম শুক অইনা কোন্ দেশে।
যেখানে গিয়াছে সাধু বাণিজ্যের আশে
উদাসী হইয়া কন্যা পক্ষীরে সুধায়।
উইড়া গিয়া খবর কও বন্ধুর তথায়॥ ৫৬
পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (দ্বিতীয় খণ্ড দ্বিতীয় সংখ্যা) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৬৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৫০
পূর্ব্ববঙ্গ গীতিকা