শিখান্য বানাইন্য[১] পক্ষী কহে পরিচয়।
যে গান শিখায়েছিল সাধু মহাশয়॥ ৬২
উজানি নদীর পারে শঙ্খপুর গেরাম।
তথায় আছে মহাজন মুৱাই সাধু নাম॥
সেই সাধুর এক পুত্র নাম তার মদন।
আমার রাখিল নাম সেই হীরামন॥ ৬৬
পরিচয় শুইন্যা সাধু আশ্চর্য লাগিল।
পিঞ্জিরা সহিতে শুক সাধুর কাছে দিল॥
হীরামন মানিক্য দিল সাধুর নন্দনে।
বিদায় হইয়া যায় সাধু আপনার স্থানে॥ ৭০
ডিঙ্গায় উঠিল সাধু শুক পক্ষী লইয়া।
এক বাঁক পানি সাধু গেল যে বাহিয়া॥
সন্ধ্যা গোঁয়াইয়া গেল আইলা রজনী।
ভাবিয়া চিন্তিয়া সাধু ফিরায় তরণী॥ ৭৪
আর বার ঘাটে আইস্যা সাধুর নন্দন।
শুকেরে শিখায় সাধু করিয়া যতন॥
শুকের পাঠ।
“উঠ উঠ কন্যা তুমি কত নিদ্রা যাও।
আমি ডাকি শুক পক্ষী আঁখি মেইল্যা চাও॥ ৭৮
পুষ্প কাননে তোমার পুষ্প গেল চুরি।
উঠলো প্রাণের কন্যা নিশা হইল ভারী[২]॥”
মধ্য না নিশায় সাধু কোন্ কাম করে।
উড়াইয়া দিল পক্ষী ভেলুয়ার গোচরে॥ ৮২