সাধুর নন্দন হইয়া পেশা পুষ্প চুরি।
তোমারে দেইখ্যা পাগল আমি হইয়াছি সুন্দরী॥”১০৬
“যে দিন দেখ্যাছি তোমায় ঐ না জলের ঘাটে।
বিদেশে বাণিজ্যে কন্যা মন নাহি উঠে॥”
মাণিক্যের অঙ্গুরী সাধু লইল খুলিয়া।
ভেলুয়ার আঙ্গুলে সাধু দিল পরাইয়া॥১১০
মালতীর মালা কন্যা করিয়া যতন।
রতি যেন সাজায় কন্যা আপন মদন॥
“বিদায় দেওল প্রাণ প্রেয়সী নিশি হইল ভারী।
কেউ না দেখিতে আজি ফিরিবাম বাড়ী॥”১১৪
“তোমারে ছাড়িতে বন্ধু প্রাণ নাহি ধরে।
চল যাইরে প্রাণের বন্ধু আপন মন্দিরে॥
কেউ না দেখিব তোমায় চাইপ্যা[১] রাখ্ব কেশে[২]।
তোমারে লইয়া আমি ফিরবাম নানা দেশে॥১১৮
বাপ ছাড়বাম মাও ছাড়বাম ছাড়বাম পঞ্চ ভাই।
তোমার সঙ্গে যাইবাম আমি অন্য চিন্তা নাই॥
কেমন কইরা ছাইড়া দিবাম বুক করিয়া খালি।
প্রাণের বন্ধু ছাইড়া গেলে হইবাম পাগলী॥১২২
নিতান্ত যাইলে বন্ধু ডিঙ্গায় কইরা লও।
আমারে ছাড়িয়া গেলে মোর মাথা খাও॥
তুমি যদি ছাইড়া যাও প্রাণে নাহি বাঁচিব।
চুম্বিয়া হীরার বিষ পরাণ ত্যজিব॥”১২৬
গলেতে ধরিয়া মদন কন্যারে বুঝায়।
কেমনে হইবে বিয়া চিন্তে সে উপায়॥
পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (দ্বিতীয় খণ্ড দ্বিতীয় সংখ্যা) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৭২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৫৬
পূর্ব্ববঙ্গ গীতিকা