“আগেত যাইব আমি বাপের সদনে।
শান্ত হইয়া থাক কন্যা আপন ভবনে॥১৩০
কয়দিন থাক কন্যা চিত্ত স্থির করি।
বিদায় দেও প্রাণের কন্যা যাই নিজ বাড়ী॥”
“যাও যদি প্রাণের বন্ধু কই যে তোমারে।
শুক পক্ষী রাইখ্যা[১] যাইবা আমার মন্দিরে॥”১৩৪
“এই শুক পক্ষীর দাম সাত মানিক কড়ি।
মূল্য দিয়া কিন যদি তবে দিতে পারি॥”
“তোমার আছে শুক পক্ষী আমার আছে শারী।
শুক পক্ষী রাইখ্যা আমি শারী বদল করি॥”১৩৮
সাধুর নন্দন কহে আর দিবা ধন।
কন্য। কহে দিলাম আমার নবীন যৈবন॥
জীবন দিলাম যৈবন দিলাম আরও দিলাম শারী।
বিদায় দেওগো প্রাণ প্রেয়সী যাই নিজের বাড়ী॥
নিশি শেষ হইল প্রায় ভোমরায় রোল করে।
ডিঙ্গায় উঠিয়া সাধু ভাসিল সায়রে॥১৪৪
ছয়মাসের পথ সাধু এক মাসে যায়।
শঙ্খপুর গ্রাম খানি সামনে দেখা যায়॥
আর্গিয়া পুছিয়া[২] মায় ডিঙ্গার যত ধন।
আঞ্চলে ঢাকিয়া লইল বাছাই নন্দন॥[৩]
জয়াদি জোকার[৪] দিয়া ঘরে লইয়া যায়।
বাণিজ্যের কুশল-বার্ত্তা বাপে যে জিগায়॥১৫০
পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (দ্বিতীয় খণ্ড দ্বিতীয় সংখ্যা) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৭৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভেলুয়া
১৫৭