আবু রাজা কয় কিবা দেইখাছ স্বপনে।
নাপিত বলে,আগে যাই মন্দিরে গোপনে॥৮৪
গোপনে মন্দিরে রাজা পরবেশ করিল।
ভেলুয়ার যতেক কথা রাজারে শুনাইল॥
কন্যার দীঘল কেশ রাজার হাতে দিল।
তাহা দেখে আবু রাজা পাগল হইল॥৮৮
নাপিতের সঙ্গে যুক্তি করিয়া গোপনে।
সাধুরে ডাকিয়া আনে আপন ভবনে॥
“শুন শুন মদন সাধু কহি যে তোমারে।
পঞ্চশত সুন্দর নারী আছে আমার ঘরে॥৯২
পঞ্চ শ’ রাণী থাক্তে পাটরাণী নাই।
আমার দুষ্কের[১] কথা তোমারে জানাই॥
সনকাঁইচ[২] বরণ কন্যা যেই দেশে পাও।
ডিঙ্গা বাহিয়া সাধু তথায় শীঘ্র চইল্যা যাও॥৯৬
আমার যে ভিন্নদেশী এক সদাগর।
এমন এক সুন্দর কন্যা দিয়াছে খবর॥
পরখাই[৩] করিতে রূপ সেই সদাগরে।
কন্যার দীঘল কেশ দিয়াছে আমারে॥১০০
পরখাইয়ের কেশ লইয়া দেশে দেশে যাও।
কেশের পরমাণ লইয়া কন্যার আমারে জানাও॥
এইমত লম্বা কেশ সনকাঁইচ বরণ তনু।
তাহারে পাইলে আমি করতাম পাটরাণী।১০৪
মনের মত নারী যদি আইন্যা দিতে পার।
সোনাতে বান্ধাইয়া দিবাম তোমার বাড়ীঘর॥
পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (দ্বিতীয় খণ্ড দ্বিতীয় সংখ্যা) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৮৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভেলুয়া
১৭১