একে একে গাইয়া শারী আবু রাজার কথা।
পলাইয়া আইল কন্যা জান্যা এ বারতা॥১৫২
পবন ডিঙ্গা বাইয়া কন্যা আইল জিত্বাশ্বরে।
হীরণ সাধু পাগল অইল[১] দেইখ্যা কন্যারে॥
তোমারে মারিতে সাধু বন্ধু তোমার আশে।
পরাণ লইয়া তুমি যাও নিজ দেশে॥১৫৬
আমি যে বন্দিনী প্রিয়া ঐ না জিত্বাশ্বরে॥
বনেলা পঙ্খিনী যেমন পইরাছি পিঞ্জরে।
দুষ্কিনী ভেলুয়ার কথা না ভাবিও আর।
আগুনে পুড়াইয়া তনু করবাম ছারখার॥১৬০
গলে দিবাম হীরার কাতি ডুবিবাম সাগরে।
বাঁচিলে না আইস বন্ধু এই জৈতাশ্বরে॥
এখানে আসিলে তোমার অবশ্য মরণ।
রূপ হইল বৈরী আমার কাল হইল যৈবন॥১৬৪
ভেলুয়ার কান্দন কথা সাধু যখন শুনিল।
শুনিয়া মদন সাধু কান্দিতে লাগিল॥
দুই প্রহর রাত্রি গেছে আছে এক প্রহর।
নিদ্রা যায় হীরণ সাধু ডিঙ্গার উপর॥১৬৮
নিদ্রা যায় হীরণ সাধু হয়ে হারা দিশ[২]।
বন্ধুরে মারিবে কাইল পানে দিয়া বিষ॥
আক্ষিতে নাহি ঘুম পরাণে বেদন।
দুপরিয়া[৩] রাত্রিকালে জাগিল মদন॥১৭২
কাটিল ডিঙ্গার কাছি উড়াইল পাল।
উজান নদীতে ডিঙ্গা যায় ভাটিয়াল॥
এক মাসের পথ সাধু চারি দিনে যায়।
বন্ধুর বাড়ী জৈতাশ্বর আগে দেখা যায়॥১৭৬
পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (দ্বিতীয় খণ্ড দ্বিতীয় সংখ্যা) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৯৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভেলুয়া
১৮৩