(১২)
মালদর বৈঠালী ছিল মদন সাধুর নায়।
পরাণের আশা ছাইরা সাধুরে বাঁচায়।
পবন ডিঙ্গা কইরা সাধু সলুকারে লইয়া।
দেশে দেশে ঘুরে সাধু ভেলুয়ার লাগিয়া॥৪
সঙ্গে আছে শুক শারী মালদর বৈঠালী।
নানা দেশে যায় সাধু হইয়। আকুলী॥
একদিন নদীর ঘাটে দেখিল চাহিয়া।
ভাঙ্গা ডিঙ্গায় ধার্ম্মিক সাধু আসে যে চলিয়া॥৮
বাতা বাইয়া পানি উঠে ডুবে ডিঙ্গা খানি।
মদন সাধু উঠ্যা বোলে “এ কার তরণী”
কাছেতে ভিরাইয়া ডিঙ্গা সাধুরে সম্ভাষে।
এই যে ধার্ম্মিক সাধু বসে কোন দেশে॥১২
মাঝি মাল্লা কিছু কিছু পরিচয় দিল।
এন কালেতে ধার্ম্মিক সাধু বাইরে আসিল॥
পবন ডিঙ্গায় উঠে সাধু লোকজন লইয়া।
বাকে পইরা ভাঙ্গা ডিঙ্গা গেল তল হইয়া॥১৬
পবন ডিঙ্গায় উঠ্যা সাধু কহে পরিচয়।
একে একে কহে সাধু যত কথা সমুদয়।
কি মতে চড়ায় পাইল যুগলা কামিনী।
কোথায় ডুবিয়াছিল সাধুর তরণী॥২০
মেঘের বরণ চুল কন্যার তারার বরণ আখি।
সকল কহিল সাধু পবন ডিঙ্গায় থাকি।
শুনিয়া আনচৌক[১] মদন সদাগর।
ধার্ম্মিক সাধুরে তবে কহিল উত্তর॥২৪
- ↑ আনচৌক=আকস্মিক ভাবে।