মিন্যতি করিয়া মদন যত সাধু জনে।
দৈব বিড়ম্বন কথা কহে সব স্থানে॥৮০
সবারে লইয়া সাধু যায় শঙ্খপুরে।
পঞ্চ কুটুম্বের সহ লইল শ্বশুরে॥
কতদিন দেখা দিল আরে শঙ্খপুর।
কুলের বড়াই সাধুর হৈয়া গেল দূর॥৮৪
মনে মনে ভাবে সাধু চিন্তা যে করিয়া।
মদনের সঙ্গে দিবে ভেলুয়ার বিয়া॥
গণক ডাকিয়া সাধু দিন করে স্থির।
এইরূপে দিন লগ্ন হইল সুস্থির॥৮৮
সোণার গলৈ ডিঙ্গা পবনের পাল।
জোড়েতে বহিয়া যায় বাতাস উতরাল॥
মালধর বৈঠালীরে ডাইক্যা কহে সদাগর।
শীগ্গির কইরা যাও তুমি সেই জৈতাশ্বর॥৯২
বিয়ার নিমন্ত্রণ লইয়া যাও সেইখানে।
এই পত্র দিও তুমি ধনঞ্জয়ের স্থানে॥
পবন ডিঙ্গা বাইয়া তবে মালাধর বৈঠালি।
চলিল প্রভুর কাজে নাহিক শৈথিল্যি॥
শুভদিনে শুভক্ষণে আইল ধনঞ্জয়।
রাজ্যের যত সাধু আইস্যা হইল উদয়॥
দুই কন্যা বিয়া হবে মদন সাধুর সঙ্গে।
শঙ্খপুরের যত লোক মজে মনোরঙ্গে॥১০০
জয়াদি জোকার পড়ে মঙ্গল বাজন।
দরিদ্রে বিলায় সাধু রজত কাঞ্চন॥
এইরূপে ভেলুয়া আর মেনকা সুন্দরী
সোয়ামীর সঙ্গে বঞ্চে দিবস শর্ব্বরী॥১০৪
পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (দ্বিতীয় খণ্ড দ্বিতীয় সংখ্যা) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩২২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২০৬
পূর্ব্ববঙ্গ গীতিকা