(২)
(আরে ভালা) ঘুম হইতে জাগ্যা রাণী আখি মেইল্যা চায়।
জাগ্যা বস্যা আছে পরাণের পতি ভালা[১] শিয়রে দেখা যায়॥২
নিশি রাইতের কাঞ্চা ঘুমরে ঢুলে দুই আখি রইয়া[২]।
ধীরে ধীরে কইল কথা গো রাণী রাজার মুখ চাইয়া[৩]॥৪
“শুন শুন পরাণের পতি আরে কহি যে তোমারে।
কি লাগ্যা কান্দিছ নিশা না রাইতে, আরে ভালা, বইসা না শিয়রে॥”৬
রাজা
“আমি যে কান্দিছি রাণী আরে শুন দিয়া মন।
আজি রাত্রে দেখিলাম, ভালা, এক কুস্বপন॥৮
পুষ্কুন্নী কাডাইছি আমি কত সাধে রাণি।
গয়িন[৪] হইয়াছে আজু না উঠিল পানি॥১০
তুমি যদি নাম গো রাণী পুষ্কুন্নীর তলে।
ভরিয়া উঠিবে তালাব[৫] পাতালের জলে॥১২
এই স্বপন দেখিলাম যেন আমার কথা শুনি।
ধীরে ধীরে সেই গয়িনে নাম্যা গেলা তুমি॥১৪
সাত পাঁচ স্বপন দেখিলাম রাণী আজি নিশাকালে।
তোমারে ভাসাইয়া নিলরে ভালা পাতালের জলে॥১৬
পার উচ্কাইয়া[৬] উঠে পাতাল পানির ফেনা।
মহাশব্দে আইসে জল হইয়া বেজানা[৭]॥১৮