মধ্যখানে রাখে রাজাগো আড়ের পালং[১]
শীতল না পাটী দিয়া শয্যার বরণ[২]॥১৪
উত্তম বালিসরে দিল আর দিল মশরী।
আবের পাঙ্খ দিলাইন রাজা জলভরা না ঝারি॥১৬
শয়নগৃহের যা যা লাগে দিলাইন[৩] এইমতে।
ঘৃতের প্রদীম দিলাইন পসর জ্বালাইতে॥১৮
পরথম প্রহর নিশি রাজা কোন কাম করে॥
ছাওয়াল সঙ্গে সুয়া দাসী পাঠায় সেই ঘরে॥২০
সুগন্ধি চন্দন চুয়াগো বাটাভরা পান।
সেই শয্যা দেখিয়া লাজে দুগ্ধ হয় মৈলান[৪]॥২২
এক রাইত যায়গো সুয়া আর রাইত যায়।
একদিন বাউরা রাজাগো সুয়ারে সমজায়[৫]॥২৪
“শুন শুন সুয়া দাসীরে কইয়া বুঝাই তরে।
নিশি রাইতে জাগ্য। তুমি কিবা দেখ ঘরে॥”২৬
ধীরে ধীরে কহেত দাসীগো রাইতের বিবরণ।
“নিশি রাইতে আস্যা রাণী ছাওয়ালে দেয় তন[৬]॥২৮
আলা নাই সে ঢিলা নাই সে দেখিতে তেমন।
সেইমত দেখি রাণীর সোণার বরণ॥৩০
সেইমত চাচর কেশগো বাতাসেতে উড়ে।
সেহিমত সর্ব্বঅঙ্গ রতনেতে জুড়ে॥৩২
সেহিমত পিন্ধন তার গো অগ্নিপাটের শাড়ী।
সেহিমত দেখি রাজা তোমার সে নারী॥৩৪
পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (দ্বিতীয় খণ্ড দ্বিতীয় সংখ্যা) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৪৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২২৬
পূর্ব্ববঙ্গ গীতিকা