পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (দ্বিতীয় খণ্ড দ্বিতীয় সংখ্যা) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভূমিকা
৩৭

লিখিয়াছেন, কলিকাতায় আসিয়া ছোটলাট সাহেবের নিকট অভিযোগ নিবেদন করিবার অভিপ্রায়েই সাঁওতাল-অভিযান প্রস্তুত হইয়াছিল। কিন্তু দলবদ্ধ অসংযত পার্ব্বত্য জাতির পক্ষে খাদ্যাভাব ও বিশৃঙ্খলা উপস্থিত হইলে লুঠতরাজ করাও বিচিত্র কথা নহে; ফলতঃ তাহাই ঘটিয়াছিল। দলবদ্ধ সাঁওতালেরা ক্ষিপ্ত হইয়া যে যে স্থানে লুঠপাট করিয়াছিল, ছড়ায় তাহার বিবরণ প্রদত্ত হইয়াছে। সরকারী কর্ত্তৃপক্ষগণ প্রথমে একটু ঔদাসীন্য দেখাইবার ফলে এই হাঙ্গামায় বহু নরহত্যা, গৃহদাহ এবং লুণ্ঠন সংঘটিত হইয়াছিল এবং বীরভূম অঞ্চলে মহা আতঙ্কের সৃষ্টি হইয়াছিল। কিন্তু পরে আবশ্যকীয় সৈন্য প্রেরণ করিয়া ইংরেজ সরকার বিদ্রোহ দমন করেন। ফলে বহু সাঁওতাল হত হইয়াছিল।

 এই ছড়ার রচয়িতা ভণিতায় কৃষ্ণদাস বলিয়া নিজের নামোল্লেখ করিয়াছেন; হাঙ্গামার কালও ১২৬২ সালের বর্ষাকাল অর্থাৎ ইংরেজী ১৮৫৫ সন বলিয়া নির্দ্দেশ করিয়াছেন। ছড়াটি ১৩০ ছত্রে সমাপ্ত।