“ঘরের পাছে বইসা ডাক এই না নিশার কালে।
বাও বাতাসে উড়ায়া নিবো আমার নছিব মোন্দ অইলে॥৪৪
আহারে দারুণ বিধি আমার কপাল পুইরাছে।
কোলের ছাইলা গাঙ্গে নিয়া হাড় চাবাইয়া খাইচে॥
ভাঙ্গা ঘরে থাকি আমি ভাঙ্গা নছিব নইয়া।
দুঃখু দেইখা তাম্সা কর আমার বাড়ীতে বইয়া[১]॥”৪৮
“গোসা কইল্লা নাপিত মাসী আমি হইলাম যে ছাইলা।
বাসু আমাক ডাকে যে মাসী কানু দাদা বুইলা॥
আমার মাও যে সই পাতাইল তুমি হইলা মাও।
ছাইলার সঙ্গে গোসা কইরা ক্যামনে কইল্লা রাও॥৫২
নিশাকালে কাম পইড়াছে বাসুক নইয়া যামু।
খাওয়ার দিব্য[২] পাইয়াছি মাসী দুই ভাইয়ে বইয়া খামু॥
উইড়া গেল কাইলা দেওয়া[৩] পাইয়াছে আল্গা বাও।
হাইরা তুফান উইরা গেল বাসুক জাগাইয়া দেও॥”৫৬
নাপতানী চিনিয়া তহন ভাবে মোনে মোনে।
সইয়ের বেটা কানু অইচে দুঃখু দিলাম মোনে॥
নিজের কথা ফিরাইয়া নিয়া বিনয় কইরা কয়।
“তুমি যে আইসাছ কানু আমার জানা নয়॥৬০
এত রাইতে আইচরে কানু আমার কাণে মালুম নাই[৪]।
ঘুমের আলিস্যি চোক্কে নাগ্চে মুখে আইল ছাই[৫]॥
পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (দ্বিতীয় খণ্ড দ্বিতীয় সংখ্যা) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৬০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৪২
পূর্ব্ববঙ্গ গীতিকা