ক্ষেমা দিবা কানু বাবা গোসা কইরবানা।
আমার বুকের বাসুক নিশাকালে যাইবার দিমুনা॥৬৪
এক বাসুক যে কইলজা আমার অন্দলের নাটী[১]।
ঐ সোণার চান্ বদন দেইখা পথে পথে হাটি॥
রাইতে পোষাইলে নইয়া যাবা রাইখ দিনের বেলা।
রাইতে আমি বাসুক নইয়া জুড়াই মোনের জ্বালা॥”৬৮
চেতন পাইয়া বাসু কৈল শুন ওহে মাও।
নিশাকালে কারবান[২] সাতে কর তুমি রাও॥
বাসুর মাও কৈল বাপু কানু আইসাছে।
দেও বিরিক্ষির তলে কানু বইসা রইয়াছে॥৭২
লম্ফ দিয়া উঠ্ল বাসু মায়ের হস্ত ঠেইলা।
ঘরের থোনে[৩] বাহির হৈল ঘরের কেওয়ার[৪] খুইলা॥
নোড়ায়া[৫] যায়া কানু দাদার জড়ায়া ধল্ল গলা।
এত রাতে কি কামে দাদা আমার বাড়ী আইলা॥৭৬
কানু বলে “তোমাক আমি নিবার আইচিলাম।
তোমার মাও যে ছাইড়া দেয়না মস্কিলে পইলাম॥”
বাসু কৈল “ভাইব না দাদা তোমার সাতে যামু।
খাওয়ার যা পাইয়াছ তুমি তোমার সাতে খামু॥”৮০
মায়রে কৈল[৬] “উইঠা মাগো ঘরের কেওয়ার মার[৭]।
ভাইয়ের সাথে ভাই চইলাছে চিন্তা ক্যান মা কর॥
কালুর সাথে বাসু গেল মাও রইল তার ঘরে।
এক মরে পোলার জ্বালায় আর যে মরে ডরে॥৮৪
পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (দ্বিতীয় খণ্ড দ্বিতীয় সংখ্যা) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৬১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মাণিকতারা বা ডাকাতের পালা
২৪৩