মায় আইয়া বউ ছাড়াইল নিল হাতে ধইরা।
জলপান করিতে দিল তিন পোলারে বাইড়া॥১৭৬
ডাল হৈল মচ্ছ হৈল হৈল তড়াতড়ি।
বড় ঘরের মাইজালেতে[১] পৈড়া গেল পিড়ি॥
বাসু আর তিন পুত্ত্র নইয়া সাধু সাথে।
ভোজন করিতে বৈল যে যার পিড়ীতে॥১৮০
পঞ্চজোনের সুম্কে আইনা দিল পঞ্চথাল।
বাসুর থাল চাইয়া দেইখা সাধুর চক্কু হৈল নাল[২]॥
গিন্নি আর বউয়ের উপুর দিল হাম্বি তাড়া[৩]।
বাসুর পাতে কিসের নিগা দিলা ভাজা পোড়া॥১৮৪
মাইয়া নোক হৈয়া তোমরা না জান সোংসার।
অনাছারে আমার বাড়ী কর বা ছারখার॥
পুরী[৪] আমার সব্বগুণে হয় যে বলিহারী।
সেহি কন্যার তোমরা মিলা মাথায় দিবা বাড়ী॥১৮৮
পয়লা ভোগে জামাইর পাতে দিলে ভাজাপোড়া।
হউর বাড়ী পুরী যাইয়া হয়ে আধামরা॥
জামাই ভাজে হউড়ী ভাজে, ভাজে নোন্দগোণ[৫]।
দেওরে কেউরে ভাজে ভাজে ঐষ্টক্ষণ[৬]॥১৯২
এহি কতা শুইনা গিন্নি থালি নইল হাতে।
যা দিছিল ভাজাপোড়া তুইলা নিল তাতে॥
বাসু ভাবে হায় কি অইল এই না কম্মে ছিল।
মস্ত মস্ত কই ভাজা আর বাগুণ পোড়া গেল॥১৯৬
আলু ভাজা বাগুনভাজা ভাজা তিলের বড়া।
বেসম দেওয়া উল্কিভাজা চাপ্টি কড় কড়া॥
পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (দ্বিতীয় খণ্ড দ্বিতীয় সংখ্যা) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৭৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৫৮
পূর্ব্ববঙ্গ গীতিকা