বাটাইলের মাটীর গুল্লি বানাইল গোণ্ডা পাঁচ।
মধ্যে মধ্যে চাইয়া দ্যাহে হৈরকাল পংখীর গাছ।
আইগ বাড়াইয়া নেওগ তারা বাটেল আইনাছি।
ধুন্কী বাটেল কে চালাব সেই ভাবনায় পইরাছি॥৪৪
আমার ধুনকী আমার বাটেল আমি যে চালাব।
কয়[১] হরিকাল পাইলে তোমার মোনের আশা যাব।
ওস্তাদি দেখিব আগে দুই হরিকাল মার।
দিনে দিনে গোণ্ডা দিও যুদি মাইবরার পার॥৪৮
এক বাটুলে দুই গুল্লি তারা যে বসাইল।
দুই হরিকাল মাটিত পৈড়া আছার পিছার নইল[২]॥
বাসু কৈল মাণিকতারা নাগাইলা যে মাত্[৩]।
এক বাটুইলে দুই শিগার এমুন পাকা হাত॥৫২
তারা কৈল এক ধুন্কির চাইর তারে মারি চাইর জোন।
এক বাটুলে পঞ্চ শিগার[৪] মারি যে কখন॥
দারু আর সুমারু কোচ থাক্ত রাজার বাড়ী।
শত দুষ্মণ[৫] তীর বাটেলে যাইত যমের বাড়ী॥৫৬
ওস্তাদ হইচিল তারা আমি সাকরিদ হৈয়া।
আমি যে শিখাছি কত তাদের কথা নইয়া॥
শতেক দুষ্মণ যদি ছামনে খাড়া হয়।
এক মাণিকতারার তীরে পাব তারা ক্ষয়॥৬০
তারার কতা শুইনা বাসু ভাবে মোনে মোনে।
তারা আমার সঙ্গী হইলে বইতাম সিঙ্গা সোনে[৬]॥
পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (দ্বিতীয় খণ্ড দ্বিতীয় সংখ্যা) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৮৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মাণিকতারা বা ডাকাতের পালা
২৬৫