বলে সব মার মার, ধর ধর, এই মাত্র রব।
আজ সিউড়ী জেলা লুটবো গিয়ে, করবো পরাভব॥
যাও সব্ জেহাল থানা[১], দিব থানা, মুক্ত কর্বো চোরে।
শুভম্বাবু রাজা
হবে
আমরা খুচ্বো মাঝি, কাজের কাজি, মহুরি কর্বো ব’সে।
কৃষ্ণসাহার দোকান ভেঙ্গে সরাপ[২] খাব ব’সে॥
বলে সব শীঘ্র তর, অস্ত্র ধর, বিলম্ব কেনে।
কর্ম্মপাকে পড়্লো সাঁওতাল সিপাইয়ের মাঝখানে॥
বেটারা তুচ্ছজাতি, নাইকো বুদ্ধি, কিবা জানে টের।
আচম্বিতে হুকুম হাকে বলিয়ে ‘ফায়ের’॥
হুকুম শুনে, সিপাইগণে, বন্দুক হাতে তুলে।
পঞ্চাশ পঞ্চাশ গুলি মারে এক এক কালে॥
যেমন তারা খাসে, আশে পাশে, তেমনি গুলি ছুটে।
পিষ্টেতে বাজিয়া কারু, পার হয় গা’ফেটে॥
অন্য সাঁওতাল যত, শত শত, পলাইয়া গেল।
কুড়ী আট সাঁওতাল তার সেই কালেতে ম’লো॥
তখন যত সাঁওতাল করে বিকলি পিছে নাহি চায়।
সলাখ্ পাহাড়ে যেয়ে সভাইরে জানায়॥
শুনে সব দু্ষ্খ মনে[৩], পরদিনে, হৈল এক্কাকার[৪]।
জদ্দী[৫] হইতে আনায় সাঁওতাল দ্বাদশ হাজার॥