এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৪৪
পূর্ব্ববঙ্গ গীতিকা
আতাইক্যা[১] আঘাত[২] তখন হৈল হালুয়ানী।
কথা নাহি আসে মুখে বুকে নাহি তার পানি॥৬৮
তারপরে হালুয়ানী কাঁপে থর থর।
হৈয়াছে তাহার যেন সান্নিবাতি[৩] জ্বর॥
নেজাম করিল কিবা শুন বিবরণ।
হালুয়ানীর পয়র[৪] উপর পড়িল তখন॥৭২
“তুমি আমার ধর্ম্ম মাতা জর্ম্ম হইতে বড়।
বহুত[৫] গুণা[৬] করিয়াছি মোরে রক্ষা কর॥”৭৪
এই সমে বড় পীর বাহিরে দিল ডাক।
হালুয়ানী ছেলাম[৭] জানাই হইল সাক্ষাৎ॥
বড়পির সাহেব বলে—“সোন্দর কুমার কই।
তারে আজি দেখি হুনি[৮] সয়রে[৯] যাইয়ম গৈ[১০]॥৭৮
হালুয়ানী হাসি কয়—বেমাইর[১১] হৈছে ভারি।
কালুকা[১২] ফজরে[১৩] আইলে[১৪] দেখইেতাম পারি॥
পীর বলে হালুয়ানী কৈরনা ছলনা।
বাধা কেনে দেয় আজি আমাকে বলনা॥৮২
হালুয়ানী কহে—“আগে খয়রাত দাও মোরে।
ঘরের দুলালে আমার দেখাইব পরে॥”