ষোল হাজার দাঁড়ের টানে শূন্যে দিল উড়া
খাল বিল কত গেল পলকেতে ছাইড়া॥১৬২
তার পরে পড়িল কোশা পদ্মার মাঝেতে।
ভাটি গাঙ্গে চলে কোশা আর বাদামেতে॥
পদ্মা বাইয়া কোশা পরে কত দূর যায়।
শ্রীপুরের সর এক সামনে দেখা যায়॥১৬৬
কেদার রায়ের বাড়ী সেইত শ্রীপুরে
সেই না দেশে রাজা সবে মান্য করে।
পাত্রমিত্র আছে কত হাজার হাজার।
ধন রত্ন দাসদাসী গণা নাই তার॥১৭০
দলান মঠ দিয়া বাড়ী কর্যাচে নিরমান।
পদ্মার পাড়ে ঘাট বান্চে দিয়া পাথর সান[১]॥
আথারে পাথারে[২] কত নানা রঙ্গের ঘর।
তেমলা[৩] চৌমলা দালান আছয়ে বিস্তর॥১৭৪
ভাটি বাইয়া আইল কোশা শ্রীপুরের ঘাটে।
ধীরে ধীরে চালাইয়া কোশা সবে মিল্যা দেখে॥১৭৬
(৬)
নজর করিল দেওয়ান তেমলার উপরে।
কাইচ[৪] গোটার বরণ এক কইনা খেলা করে॥
তার আলোকে অইল তেমলা পশর।
দেওয়ান না দেখ্ছে এমন কুমারী সুন্দর॥৪
এক দিষ্টে চাইয়া রইল তার যে পানে।
কখন নি দেখা অয় নয়ানে নয়ানে॥