সাদি না করিবাম আমি থাকবাম আবিয়াইৎ
রাজ্যের যতেক চিন্তা করি দিন রাইত।
আর না পাঠাইবাম খিরাজ দিল্লীর সহরে
আর না যাইবাম আমি দিল্লীর দরবারে॥৩৬
এই কথা শুনিয়া বিবি দিলে[১] দুঃখু পাইল
মিন্নতি করিয়া পুত্রে কহিতে লাগিল রে।
হেন কালে শুন মিয়া কোন্ কাম হইল
একঅ[২] তসবীরওয়ালী আন্দরে আসিল॥৪০
মায়ে পুতে[৩] যুক্তি করে আন্দরে বসিয়া
হেন কালে তসবীরওয়ালী দাখিল হইল গিয়া।
(আরে ভাইরে) তসবীরওয়ালী ঘরে আসিতে না আসিতে
এক বান্দী দিল একখান খাট বসিতে॥৪৪
খাটেতে বসিয়া পরে তসবীর খুলিল
বান্দীরা সকলে তারে ঘিরিয়া বসিল।
তসবীরওয়ালী তসবীর দেখায় থরে থরে
হেন কালে মা জননী কহেন সাহেবে রে॥৪৮
শুন শুন পুত্র ধন রে বাছিয়া গুছিয়া
তসবীর রাখহ এক দিল্ খুসী যইয়া।
আমি ত দিবাম্ এর কিম্মত[৪] যত লাগে
বাসিয়া তসবীর এক রাখ তুমি আগে॥৫২
এতেক শুনিয়া মিয়া বাচিয়া গুচিয়া
মনের মতন তসবীর লইল তুলিয়া।
পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (দ্বিতীয় খণ্ড দ্বিতীয় সংখ্যা) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৫৬৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ফিরোজ খাঁ দেওয়ান
৪৪১