পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (দ্বিতীয় খণ্ড দ্বিতীয় সংখ্যা) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৫৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ফিরোজ খাঁ দেওয়ান
৪৫৫

স্বপনে সোনার ধুন্দল[১] পাইলেক হাতে
আৎকা[২] দরদী দুস্ত[৩] পাইলা দেখা পথে।
সেই মত সখিনা বিবি চমকিয়া উঠিল
ফিরুলীর কাছে কন্যা কহিতে লাগিল॥১০৮

শুন গো ফিরুলী আরে কহি তোমার স্থানে
এই তসবীর তুমি পাইলা কোন্ খানে।
দেশ বিদেশ তুমি ঘুরিয়া বেড়াও
এই ত তসবীর তুমি কোন্ দেশে পাও॥১১২
কোন্ জনা আঁকিল তসবীর কারে বা দেখিয়া
কোন্ দেশে পাইয়া তসবীর আনিলা কিনিয়া।
সাচা[৪] কথা ফিরুলী যে কহ ত আমারে
আগে যেন দেখিয়াছি এই ত ফকীরে॥১১৬

শুনিয়া ফিরুলী তবে কহিতে লাগিল
সখিনার পায়ে সাত সেলাম জানাইল।
সাচা কথা কহি আমি শুন বিবিজান
দেশ বিদেশেতে ঘুরি করিয়া ফিরান[৫]১২০
আগ্রা দিল্লীর পথে করি আনা গোনা
কতদেশে যাই আমি তার নাই জানা।
ঘুরিতে ঘুরিতে আইলাম জঙ্গলবাড়ী সরে
এই তসবীর বেচ্‌ল মোরে এক সদাগরে॥১২৪


  1. ধুন্দল=শশাজাতীয় এক প্রকার ফল।
  2. আৎকা=হঠাৎ; অপ্রত্যাশিত ভাবে।
  3. দুস্ত=বন্ধু। স্বপ্নে যেন কেহ সোনার ফল হাতে পাইলে, কিম্বা অপ্রত্যাশিত ভাবে কোন দরদী বন্ধুর সঙ্গে দেখা হইল। সেই তস বীর দেখিয়া সুখিনা তেমনই সুখী হইল।
  4. সাচা=(সাচ্চা, সত্য।
  5. ফিরান=ফেরি।