এই কথা যখন দেওয়ান ফিরোজ শুনিল
ডঙ্কায় বাড়ি দিয়া যত ফৌজদারে ডাকিল।
রণের কারণে দেখ যত ফৌজদারগণ
সিপাই লইয়া আইল দেওয়ানের সদন॥৬০
তার পরে ফিরোজ দেওয়ান রণের সাজ লইয়া
মায়ের নিকটে গেল বিদায়ের লাগিয়া॥৬২
(৮)
দিশা——
ফিরোজ খাঁ রণে গেল।
বিনায়া[১] কান্দে মায় বুকে রইল ছেল[২]॥
সেলাম জানাইয়া কয় মায়ের চরণে
বিদায় দেওখাইন[৩] মা জননী যাইবাম আমি রণে।
সিতাবি বিদায় দেওখাইন দিয়া পায়ের ধুলা
জঙ্গলবাড়ী সর মাগো ফৌজে যে ঘিরিলা॥৪
উমর খাঁ দেওয়ান মাগো বাদশার ফৌজ লইয়া
পর্তি শোধ লইতে দাখিল হইল আসিয়া।
দেরী না সয় যে মাও শুন দিয়া মন
বিলম্ব করিলে নাহি আশা জিতি রণ॥৮
এই কথা শুনিয়া মাও কয় যে পুত্রেরে
না যাও পরাণের পুত্র তুমিত রণেরে॥
আন ডাকাইয়া আছে যত ফৌজদারগণ
সকলে পাঠাও তুমি করিবারে রণ॥১২
তুমি পুত্র কলিজার লৌ[৪] যে আমার
কেমনে থাক্বাম না দেখিয়া চান্দমুখ তোমার।