পাতা:পূজা ও সমাজ - অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సి' (ट्र दला | রোগের নিদান অজীর্ণরোগ ও বহুমুত্র রোগ এই উভয়ের সহিত বহু ভদ্রসন্তানের চিরদিনের জন্য প্ৰণয়-পরিচয় জন্মিয় থাকে ; কেন ? শ্রমাভাবই ইহার প্রধান কারণ। চাকরি ব্যবসায়ী পুরুষ তবু চাকরির খাতিরে আফিসে ও আফিস হইতে বাড়ীতে যাওয়া আসা করেন, ইহাতে তাহার অঙ্গের একটু নাড়াচাড়া পড়ে, কিন্তু বঙ্গ মহিলার কি দশা । বঙ্গীয় ভদ্রকুলরমণী ত গৃহ পিঞ্জরে বদ্ধ বিহাঙ্গিনী । গৃহ-পিঞ্জরে বদ্ধ হইয়াও শরীর খাটাইয়া অনেক গৃহকৰ্ম্ম সম্পাদন করিতে পারেন। কিন্তু দুৰ্ভাগ্যবশতঃ ইহাদের স্বাস্ত্যোন্নিতিবিধায়ক কোন কাজকম্মের ব্যবস্থা নাই! যাহা পূৰ্ব্বে ছিল, তাঙ্গা ক্ৰমে উঠিয়া যাইতেছে। প্রবাসীস্বামীর সঙ্গীবাসে প্ৰবাসিনীর শ্রমের কার্য্য করিতে অনিচ্ছুক ; ইচ্ছুক যাহারা, তাহারাও বড় সুযোগ পান না । যাহাবা ধনী বা • কিঞ্চিৎ উন্নত পদস্থ, তাহাদের কামিনীরা কোন কাজেই হাত দিতে চান না, দেন না । দাস-দাসী, পাচকের উপর গৃহকাৰ্য্যের ভার। শ্রমভাবে প্রকৃতির কঠোর নিৰ্ম্মম শাসন পুরুষের ন্যায় রমণীর উপর ও অপ্রতিহত ভাবে চলিতেছে, সুতরাং উভয়েরই স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য শারীরাশ্রমের সুব্যবস্থা থাকা উচিত, একথা বলিলে কেহ কোচ হয়ত আমাদের উপর বিষবাণ বর্ষণ করিবেন, কিন্তু তাহাদের মনে রাখা উচিত যে, পুরুষেরা নিজে শারীরাশ্রমরূপ প্ৰকৃতির নিয়ম লঙ্ঘন করিয়া যেমন অধৰ্ম্মাচরণ করিতেছেন, রমণীদিগকেও সেই শ্রমে বঞ্চিত রাখিয়া পাপের ভর দ্বিগুণ করিতেছেন। এ অবস্থার জন্য দায়ী কে ? অবশ্যই শিক্ষিতসমাজ। শিক্ষিতপুরুষমাত্ৰই ইহার জন্য দায়ী । কারণ, তাহারাই অধিকতর দুর্বল ও রুগ্ন হইয়া পড়িতেছেন। সমাজ বলিলে সাধারণতঃ যাহা বুঝা যায়, তাহা বড় দুর্বল, সুতরাং ব্যক্তিগতভাবে প্রতিকারের ইচ্ছা ও চেষ্টা আবশ্যক। স্ত্রী-পুরুষ বলিষ্ঠ, সুস্থ না হইলে কখনও সন্তান বলিষ্ঠ ও পুষ্টাঙ্গ হইতে পারে না। ।