পাতা:পূজা ও সমাজ - অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/১০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূজা ও সমাজ । So S সুলভমূল্যে কিনিয়া উপাদেয় মিঠাই তৈয়ার করে। ফেরিওয়ালারাও লালমোহন, ক্ষীরমোহন সাজাইয়া সরলচিত্ত বালকদিগের মন ভুলাইয়া রসনার তৃপ্তি সাধনে একান্ত যত্নবান। এই গুলির নাম মিষ্টান্ন না। রাখিয়া বিষন্ন রাখাই সঙ্গত । ইহাতে যেমন অর্থের তেমনি স্বাস্থ্যের হানি হইয়া থাকে । কেবল রসনার লম্পট্য বুদ্ধি পায় মাত্র। এরূপ মিষ্টান্ন না খাওয়া সর্বতেভাবে শ্ৰেয়ঃ, এ কথায় পালকদিগের ক্ৰোধ হইবে বটে, কিন্তু ভাবিয়া দেখা উচিত, মিঠাই খাইলে বল বাড়ে কি না, উপকার আছে কি না । যাহাতে নলহানি হয়, তাত লোভনীয় হইলেও সৰ্ব্বতোভালে বর্জনীয়। আমাদের আদর্শস্থানীয় পাশ্চাত্য-সভ্য-দেশবাসীরা ত এইরূপ মিষ্টান্নপ্রিয় নহেন। পয়সা ব্যয় করিয়া ব্যারাম কিনিয়া লওয়া নিতান্ত নির্বোধের কৰ্ম্ম নয় কি ? পূর্বে অনেক খাদ্যদ্রব্যই ঘরে তৈয়ার হইত। গো-পালন গৃহস্থের ধৰ্ম্ম ছিল । নানাবিধ উপাদেয় গাব্য জিনিষ গহে তৈয়ার হইত। সেই সব সদ্যঃ-পবিত্র দ্রব্য আহার করিয়া মনের তৃপ্তি ও দেহের স্বাচ্ছন্দ্য জন্মিত। বাড়ীতে ধান ভানিয়া টাটুকা চাউল প্ৰস্তুত করা হই না, তাহাতে অমরোগের প্ৰাবল্য দেখা যাইত না, কিন্তু এখন আমরা বিলাসিতায় মজিয়াছি। পরের হাতে সব সঁপিয়া দিয়াছি । অন্যে আমাদের জন্য পরিশ্রম করিয়া অন্ন প্ৰস্তুত করিয়া দিবে, আমরা সুখে অনায়াসে বসিয়া বসিয়া তাহা ভক্ষণ করিয়া জীবন ধারণা করিব ও স্বাস্থ্য বজায় রাখিব ! বঙ্গদেশের হোটেলগুলি অপবিত্রতার আধার। কোন কোন হোটেল । সৰ্ব্বজনবিদিত। এই সকল হোটেলের যথাযথ বর্ণনাদ্বারা বীভৎস রসের অবতারণা করা সুরুচি সঙ্গত নহে, তবে ইহা বলিলেই যথেষ্ট হইবে যে, এখানে মূৰ্ত্তিমতী অপবিত্ৰত পিশাচী প্ৰতিদিন কত যাত্রী অতিথিদিগকে