পাতা:পূজা ও সমাজ - অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূজা ও সমাজ । » ဝှဎ আবার, আহারের নিমন্ত্রণ হইলেই লোকে অসময়ে গুরুভোজন করিয়া পাকে । অনিয়মই বাঙালীর নিয়ম। নিমন্ত্রণ ব্যাপারেও সেই নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটে না। অসময়ে ভোজন, অপরিমাণ ভোজন, নিমন্ত্রণ হইলেই এক গা বুঝিতে হইবে । কেহ কেহ এই সুযোগে উদরটাকে দ্বিগুণ ত্ৰিগুণ বোঝাই করিয়া লয় । কেহ বা ভরা পেটে গণ্ডায় গণ্ডায় রসগোল্লা গলাধঃকরণ করিয়া কত বাহাদা পায় । ঐ যে কথায় বলে, “খাইলে দামোদর, না থাইলে শ্ৰীধর।” ইহাদেরও সেই দশা । ইহারা নিজ বাড়ীতে শ্ৰীধর, উদরের থ’লেটাকে খুব ক’সে বেঁধে রাখেন, আর নিমন্ত্রণের বাড়ীতে দামোদর, কোমরের বাধ ও উদরের থ'লের বাধ খুলে দিয়ে বসেন * বৃকোদার বুকের উদর পাইয়াছিলেন বলিয়াই সশৰীরে স্বৰ্গে যাইতে পারেন নাই, এই কথাটা ভোজনসৰ্ব্বস্ব পেটুকদলের ୩Cନ ଐ05 কিনা জানি না। ভোজন বলের জন্য, শরীর-রক্ষার জন্য। জীবনের জন্যই ভোজন, ভোজনেব জন্য জীবন নহে, এই মোটা কথাটাতেই কেমন ভুল ! আজকাল প্ৰায় সকল প্রকার খাদ্যদ্রব্যই দুর্লভ, দুৰ্ম্মল্য ও কৃত্রিম হইয়া পড়িয়াছে। কিন্তু ইহাতেও আমাদের মনে হাহুতাশের ভাব নাই, একেবারে নিৰ্ব্বিকার। ইহা কি জড়িত্বের লক্ষণ নহোঁ ? খাটি জিনিষ আজকাল দুপ্রাপ্য, ইহার অর্থ এই যে, খাটি মানুষও দুস্তপ্রাপ্য। বিক্রেতাগণ কৃত্ৰিমজিনিষ বিক্ৰী করে, ক্রেতাগণ অমানবদনে তাহা গ্ৰহণ করিয়া মৌন অনুমোদন বা সম্মতি প্রদান করিয়া কৃত্রিমতার প্রশ্রয় দিয়া আসিতেছেন, সত্যের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করিতেছেন। ইহাতে নৈতিক-বায়ু দূষিত, জাতীয়-চরিত্র সত্যভ্ৰষ্ট হইয়া পড়িতেছে। একত্র অবস্থানহেতু কৃত্রিম পোষ্য-পুত্রের প্রতি কৃত্ৰিম-পিতার একটা কৃত্ৰিম-স্নেহ জন্মে, এবং পুত্ৰ জন্মিল না বলিয়া তাহার। আর মনে দুঃখ থাকে না । সেইরূপ নিত্যব্যব