পাতা:পূজা ও সমাজ - অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/১১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ମୃଞ୍ଜନୀ ଓ ?titୱ | ه د? চাইতে সংযমী চরিত্রবান শিক্ষকের দীর্ঘকালব্যাপী ক্রমাগত শিক্ষা ও শাসনের অধীন থাকিয়া সংযম অভ্যাস করা আবশ্যক । নিয়মিতরূপে অন্তদেহের ডিল হওয়া দরকার । স্বভাবতঃ কুদৃশ্য দেখিতে অবশী যুবগণের নয়ন ধাবিত, কুসঙ্গীত শ্রবণে কৰ্ণ আকুলিত, কুকথা বলিতে রসনা লালায়িত । আদিরসাশ্ৰিত কুৎসিত সঙ্গীত ও কুৎসিত নাট্যাভিনয়ের পরিবর্তে, প্রায়শঃ মধুর ধৰ্ম্মসঙ্গীত শ্রবণ, নদী, পৰ্ব্বত প্ৰভৃতি প্ৰাকৃতিক দৃশ্যাবলী, সে সকলের মনোহর চিত্র ও মহাত্মাদিগের মধুরী-পুণ্য আলেখ্য, দর্শন করিলে, তাতাদের দর্শন ও শ্রবণেন্দ্ৰিয় পরিতৃপ্ত এবং চিত্ত প্ৰফুল্ল-পবিত্ৰ হইতে পারে। ছাত্রদিগের মধ্যে বহুবালাপপ্রবৃত্তি অতিশয় বলবতী । ইহাতে চিত্তকে লঘু করে। আব, বহুভাষী জনে প্রায় সত্যকথা কয় না। সত্যে অনুরাগ থাকিলেও বহুভাষী ব্যক্তি সত্যক থা প্ৰায়ই বলিতে পারে। না ; কারণ, সত্যকথা যে অল্পেই ফুরাইয়া যায়। বাকসংযম চরিত্রগঠনের পক্ষে অত্যন্ত উপযোগী ; ইহাতে মনের বল বৃদ্ধি হয়। আমরা বাকসিদ্ধ পুরুষের কথা শুনিয়াছি। বাস্তবিক বাকসিদ্ধি ও সত্যভাষণ বাকসংযমেরই পরিণতি। অসৎপ্রবৃত্তির দমন ও সংপ্ৰবৃত্তির স্থূরণ সংযমের ফল। ইহাতে দেহ ও ইন্দ্ৰিয়ের শক্তি সঞ্চিত হয়। বলসঞ্চয় অর্থাৎ দেহ, মন ও চরিত্রের বল বুদ্ধি করাই সংযমের উদ্দেশ্য । বলের জন্যই বাক, দণ্ড, মনোদণ্ড ও কায়দণ্ড এই ত্ৰিদণ্ডের ব্যবস্থা প্ৰাচীন যুগে ছাত্রসমাজে প্ৰবৰ্ত্তিত হইয়াছিল। সকল ছাত্রেরই এ কথা জানিয়া রাখা উচিত যে, • “মরণং বিন্দুপাতেন জীবনং বিন্দুধারণাৎ”। বীৰ্য্যপাতিনে মরণ, বীৰ্য্যধারণে জীবন। অবৈধ কুৎসিত উপায়ে, তরুণবয়সে যদি বীৰ্যপাত করা হয়, তবে তাহাতে বিনিপাত অবশ্যম্ভাবী। প্ৰকৃতির হাতে পাপীর অব্যাহতি নাই। পাপীকে সারাজীবন শোচনীয় পরিণামফল ভুগিতে হইবে।