পাতা:পূজা ও সমাজ - অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Σ. Σο क्ष-व् | ংসারী মানিতে পারে ? মানিলে সংসার চলে কৈ ? অর্থ চাই, বিত্তবিভব চাই। পারিবারিক সুখস্বাচ্ছন্দ্য, সমাজের শ্ৰীবৃদ্ধি, এমন কি, অস্তিত্বও বহুল পরিমাণে অর্থের উপর নির্ভর করে । ধনে ব্যক্তির ততোধিক সমাজের বল বৃদ্ধি হইয়া থাকে । জ্ঞানের ন্যায় ধন একটিী শক্তি। দরিদ্র ব্যক্তি ও দরিদ্রসমাজ জীবন্মত। দরিদ্রতা বল ও গুণ হরণ করে । “দারিদ্র্যদোষো গুণরাশিনাশা।” একমাত্ৰ দারিদ্র্যদোষই সমস্ত গুণরাশিকে বিনষ্ট করে । এ কথা সত্য । দরিদ্র ব্যক্তি ধনীর নিকট হেয়, দরিদ্র সমাজ ধনগবিবত সমাজের নিকট উপহাসাম্পদ। গৃহী মাত্রেরই ধনের প্রয়োজন আছে সত্য, কিন্তু ধনগমের পথ। অনেকে পায় না। বাণিজ্য ও কৃষি ধনগমের প্রকৃষ্ট ও প্রশস্ত পথ, একথা প্ৰাচীনকালের লোকেরাও বিলক্ষণ জানিতেন । কেবল যে জানিতেন তা নয়, তাহারা বাণিজ্যকাৰ্য্যে বিশেষভাবে লিপ্ত ছিলেন। এক সময়ে তাম্রলিপ্ত (তমলুক ) বাণিজ্যের প্রধান বন্দর ছিল। বাঙালীহিন্দুনাবিক-পরিচালিত বাঙালীর তাৎকালিক অর্ণবযানসমূহ বাণিজ্যার্থে সগৰ্ব্বে সমুদ্রবক্ষে বিচরণকরতঃ, দুরবিদেশ হইতে ধনরত্ন আহরণ করিয়া স্বদেশকে ধনশালী করিয়াছিল, ইহা ঐতিহাসিক সত্য । ইয়োরোপীয় সভ্য জাতিসমূহ আমাদের প্রায় সকল বিষয়েই পথপ্রদর্শক । ইহারা বাণিজ্যের প্রভাবে নিজ নিজ দেশে জগৎ শেঠের ন্যায় ধনকুবেরের সংখ্যা বৃদ্ধি করিতেছে, ইহা জানিয়াও, এবং অবাধ-বাণিজ্যপ্ৰথা বৰ্ত্তমান থাকাতেও, বাণিজ্য বিষয়ে পাশ্চাত্য সভ্য জাতির অনুসরণ করিতে আমাদের সাহস হয় না। আমরা অর্থাগমের সর্ব নিকৃষ্ট দুইটী উপায়চাকরি ও ভিক্ষা-বাছিয়া লইয়াছি । অলস শান্তিপ্ৰিয়তাই ইহার অন্যতম কারণ। মাসান্তে বিনা ঝঞ্জাটে বেতনের নির্দিষ্ট টাকা কয়ট পাওয়া যায়, কেমন সহজ পন্থা !