পাতা:পূজা ও সমাজ - অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূজা ও সমাজ । ܠ ܠ ܠ বাঙালী চাকরি করে, কিন্তু অভাব ঘোচে না । বৎসর বৎসর কত যুবক চাকরির জন্য প্রস্তুত হইতেছে, কিন্তু সকলকে চাকরি দিবে কে ? কাজেই অর্থার্জনের উপায়ান্তর খুজিয়া লওয়া আবশ্যক। কিন্তু তাহার চেষ্টা কয় জনে করে ? কাজেই দুঃখ দারিদ্র্যও দূর হয় না ! আবার ‘ভিক্ষায়াং নৈব চ নৈব চ”, ইহা জানিয়াও ব্রাহ্মণগণ ভিক্ষাবৃত্তিকে একেবারে ত্যাগ করিতে পারিতেছে না । পুরোহিত্যুবৰ্গ, তান্ত্রিক মন্ত্রদাতা গুরুকুল, এবং কুলীন ব্ৰাহ্মণ দলের মধ্যে কেহ কেহ প্ৰধানতঃ ভিক্ষা ও পরিপিণ্ডোপজীবী । অপর সাধারণ ব্ৰাহ্মণদিগের মধ্যেও যাহারা অন্য উপায়ে অর্থার্জনে অসমৰ্থ, তাহারাও ভিক্ষাবৃত্তি অবলম্বন করিয়া থাকে। পরের দ্বারস্থ হইয়া ভিক্ষা করিতে ইহারা লজ বা অপমান বোধ করে না, বরং ব্ৰাহ্মণ-সন্তান বলিয়া সমাজের নিকট অর্থ দাবী করিতে ইহাদের ধৰ্ম্মসঙ্গত ন্যায্য অধিকার আছে বলিয়া, মনে করে। মনে করে না যে, ইহাদিগকে লোকে তৃণ হইতেও হেয়, তুলা হইতেও লঘু মনে করে। নমস্ত বিদ্বান গুরু পুরোহিতদিগকে বাদ দিলেও প্ৰায়-নিরীক্ষর পুরোহিতঠাকুর ও গুরুঠাকুরের সংখ্যা বড় কম হইবে না । পূর্বে একটা প্ৰবাদ প্রচলিত ছিল যে, “না লেখে না পড়ে দারগণ গিরি ক'রে খাবে।” এমন এক সময় আসিয়াছিল, যখন নিরেট মুখও অনায়াসে পুলিসের দারোগ হইতে পারিত, জীবিকা অর্জনের একটা প্ৰশস্ত পথ পাইত। সেইরূপ নিরক্ষর হইয়াও ব্রাহ্মণ, পুরোহিতাগিরি করিয়া জীবনরক্ষার একটা উপায় করিয়া লয় । সঙ্গে সঙ্গে ভিক্ষার বুলি ত আছেই। গুরুকুলেরও প্ৰায় সেই দশা । লেখা পড়া না শিখি লেও কানে ফু দেওয়ার গুপ্তমন্ত্ৰটী মুখস্থ করিয়া রাখিলেই সকল বিপদ কাটিয়া গেল ! তখন শিষ্যের বাড়ী যাইয়া বাৰ্ষিকের টাকা আদায়