পাতা:পূজা ও সমাজ - অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/১২১

श्रृंख्छ1 ७ नभाछ । Σ Σ. ΝΟ এক ভাই প্ৰবাসে থাকিয়া মাথার ঘাম পায়ে ফেলিয়া অতি কষ্টে অর্থ উপাৰ্জন করিতেছেন, অপর চারি ভাই বাড়া বসিয়া স্বীপুত্রকন্যা লইয়া ভ্ৰাতার উপার্জিত অর্থে উদরপৃষ্টি করিয়া থাকেন ; আর ঘুমাইয়া, তাস পাশা খেলিয়া, ও অবসরকালে ঝগড়া কলহ করিয়া, কত অশান্তির সৃষ্টি করেন। উপাৰ্জনকাৰী প্রতিপরায়ণ ভ্ৰাতাকে ও তৎপুত্ৰদিগকে দারিদ্র্যের মধ্যেই থাকিতে হয়। কিন্তু পরিবারের সকল পুরুষই যদি নিজ নিজ শক্তি অনুসারে অর্থ উপাৰ্জনে মনোনিবেশ করেন, তবে এরূপ দুৰ্দশা হয় না। বঙ্গের একান্নভূক্ত পরিবারে ভ্ৰাতৃভাগ্যোপজীবী শ্রাতার অভাব নাই । ইহাতে যে দুঃপ-দারিদ্র্য ও অনৈক্য বুদ্ধি পায়, ভুক্তিভোগী হ ইয়া ও অলস স্বার্থপর ভ্ৰাতা তাহা বোঝে না । কেহ কেহ হয়ত, “স্ট্রাবৃদ্ধিঃ প্ৰলয়ঙ্করী” এই মতের পোষকতা করিয়া নিরীহ অবলা জাতি, গৃহবিচ্ছেদের মূল কারণ বলিয়া নিৰ্দেশ করি বেন। কিন্তু স্ত্রীবৃদ্ধি এরূপ হইল কেন ? পুরুষেরাই বা স্ত্রীবৃদ্ধি লয় কেন ? ইহার জন্য দায়ী কে ? যেখানে অজ্ঞান অন্ধকার, সেখানেই স্বার্থাদ্ধতা । স্ত্ৰীজাতিকে অন্ধকারে রাখিলে এরূপ অবস্থা চ ওয়া আশ্চর্য্যের বিষয় নহে । আয়ের দ্বার যদি এক, ব্যয়ের দ্বার একশত। অর্থ এক দিক দিয়া আসে, কিন্তু শতভাবে শতদিক দিয়া বাতির হইয়া যায়। অ্যায়ের অনুপত অতিক্রম করিয়া ব্যয়বুদ্ধি হইলেই দারিদ্র্য আসিবে । চাকরিগতিপ্ৰাণ বাঙালী-ভদ্রসন্তানের মধ্যে কেহ কেহ syegi (a জড়িত, で将tびマー বা আয়-ব্যয় সমান । সঞ্চয় করা অতি অল্প লোকের ভাগ্য ঘটে । খাদ্য, পরিধেয় প্ৰভৃতি দ্রব্যের মূল্য এত অধিক বৃদ্ধি পাইয়াছে যে, সামান্য চাকরীর আয়ে আর আবশ্যকীয় । বায় সংকুলান হইতে পারে না । তাহাতে আবার অনেক কৃত্ৰিম কল্পিত ২ অভাব আসিয়া ব্যায়ের মাত্রা দ্বিগুণ, ত্ৰিগুণ করিয়া তুলিয়াছে। অভাবে কত লোকের স্বভাব নষ্ট