পাতা:পূজা ও সমাজ - অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৮ কলাবিদ্যা । পিতা-পুত্ৰে, গুরু-শিষ্যে মিলিয়া উপভোগের অযোগ্য, তাহাতে আবিলতা আছেই বুঝিতে হইবে । যেমন আকাশ হইতে পতিত মেঘবারিধারা অতি বিশুদ্ধ, নিৰ্ম্মল, সুপেয়; কিন্তু নালা ডোবায় পড়িয়া অশুদ্ধ, সমল ও অপেয় হয়। সেইরূপ সঙ্গীত স্বরূপত: বিশুদ্ধ, পাত্ৰভেদে অশুদ্ধ। উন্নত সঙ্গীতে মন উন্নত, কুসঙ্গীতে কলুষিত হয়। অথবা কুৎসিত মনে কুসঙ্গীতের জন্ম ; এবং কুরুচিপূর্ণ সমাজে কুসঙ্গীতই প্রশ্রয় পাইয়া, থাকে। উন্নত সঙ্গীত উন্নত সমাজেরই পরিচায়ক । সঙ্গীত জিনিষটা প্ৰকৃতপক্ষে যদি মন্দই হয়, তবে ইহাকে অৰ্দ্ধচন্দ্ৰ দিয়া সমাজ হইতে একেবারে বহিস্কৃত করিয়া দেওয়াই উচিত। যদি ভাল হয়, তবে প্ৰত্যেকেরই আলিঙ্গন করা অসঙ্গত নহে। কিন্তু ইহা সঙ্গত নহে যে, সঙ্গীত মন্দই বটে, যাহারা মন্দ মানুষ, তাহারা মন্দ লইয়াই থাকুক ; আর আমরা ভাল মানুষ, পিতা পুত্রে একত্ৰ হইয়া যাত্ৰা গান শুনিব, নাচ দেখিব, অভিনয় দেখিব, আর বাতাবা দিব ! ভাই ভগ্নী পরস্পর প্রীতির বন্ধনে সম্বদ্ধ থাকিয়া প্ৰতিদিন কৰ্ত্তার সঙ্গে অন্ততঃ একবার প্রাতে কি সন্ধ্যায় মিলিত কণ্ঠে বিভুগুণগান করিয়া বিমল আনন্দ উপভোগ করা কি অন্যায়, অধৰ্ম্ম ? যে সমাজে প্ৰায় প্ৰত্যেক পরিবার এই প্ৰকার বিশুদ্ধ সঙ্গীতানন্দ আস্বাদ করিয়া থাকে, সেই সমাজে দেবগণ স্বৰ্গ হইতে পুষ্পবৃষ্টি করিয়া থাকেন। বৈদেশিক বাস্থ্যে ও নকল গানে আমরা আমোদ পাঈতেছি বটে, কিন্তু সমাজ হইতে দিন দিন আমোদ-আহলাদ চলিয়া যাইতেছে । আনন্দউৎসব কমিতেছে। শিক্ষিতগণ কোন কোন উৎসবকে বর্বরোচিত মনে করিয়া বিদায় দিতেছেন । ७यभूझङा ऽि८डत नौतद मत्रोड, মানের স্বতঃ আনন্দ প্ৰবাহ নিবারের ঝরঝর কলকল শব্দের ন্যায়,* গীতে বাদ্যে অভিব্যক্তি হইয়া থাকে।