পাতা:পূজা ও সমাজ - অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/১৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩০ কলাবিদ্যা । বার বস্তু নহে! ব্যাখ্যা করিয়া মধুব মিষ্টত্ব বুঝান যায় না, আস্বাদনেই বুঝিতে হয়। কাব্যরসও সেইরূপ উপভোগক্ষম, ব্যাখ্যাৰ্ছ নহে। ইহা “ব্ৰহ্মাস্বাদ-সহোদরঃ’ ! ব্ৰহ্মাম্বাদতুল্য। ব্ৰহ্মানন্দ কেমন, কে বলিবে ? কে বুঝাইবে ? ব্ৰহ্মানন্দের ন্যায় কাব্যরসও নিরূপম, অনির্বচনীয়। কাব্যপাঠে মন কি এক অপূৰ্ব্ব, অপার্থিবভাবে পরিপূর্ণ হইতে থাকে, তাহা বাক্যে প্রকাশ করা যায় না। “কাব্যং জগন্মঙ্গলম’, কাব্য জগতের মঙ্গল। কাব্যে যেরূপ জগতের মঙ্গল হইয়া থাকে, এরূপ আর কিছুতেই নহে। রামায়ণ, মহাভারত যেমন ভারতসমাজের উপকার করিয়াছে, কপিল-কণাদের দর্শন-বিজ্ঞান কি তেমন পারিয়াছে ? এই দুই মহাকাব্য সমগ্ৰ সমাজকে সঞ্জীবিত ও উন্নমিত করিয়াছিল। উহারা জ্ঞান ও সুখের অনন্ত উৎস, অক্ষয় অমৃত ভাণ্ডার । কত কবি কাব্যদ্বয় হইতে জ্ঞানামৃত পান করিয়া অমর হইয়াছেন, কত ধৰ্ম্মপিপাসু। ধৰ্ম্মজীবন লাভ করিয়াছেন। সংস্কৃত কবিদের ত কথাই নাই, বর্তমানকালে পাশ্চাত্যবিদ্যায় কৃতবিদ্য গ্ৰন্থকারগণও এই কাব্য দুইখানির নিকট হুল পরিমাণে ঋণী । ফলতঃ কাব্যই সমাজের জীবনকে সরস, কাব্যময় করিয়া রাখে, জাতীয় জীবনকে সজীবতা প্ৰদান করিয়া থাকে। কাব্যশূন্য সমাজ ও ব্যক্তি শীতকালের ফল-পুষ্প-পল্লব-রহিত, জীর্ণতরুর ন্যায় শোভাসৌন্দৰ্য্যহীন, মৃতকল্প। Dead is the life without poetry, Deedless, and with no heart to feel, Like to a tree shorn of beautyFlower, fruit and leaf,--in winter chill. সভ্যতার উন্নতিতে কাব্যের অবনতি, একথা, প্ৰসিদ্ধ ইংরেজ সমালোচক বলিয়াছেন। সরস বাল্যে ও উদ্দাম যৌবনে যখন সংসারটা