পাতা:পূজা ও সমাজ - অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

98 কলাবিদ্যা । কুরূপ। মনুষ্যত্বের বিকাশই মানুষকে সুন্দর করে। লোকের শক্তি প্ৰয়োগ কুৎসিত হইতে পারে, কিন্তু তা বলিয়া শক্তি কুৎসিত ন'হে। কারণ, বীজ শক্তিতে সৌন্দর্ম্যের বীজ নিহিত থাকে । গ্ৰীক দার্শনিক পণ্ডিত মহাত্মা সক্রেটিস বলিয়াছেন,--যাহা কাৰ্য্যকার, কাজে আসে (useful), তাহাই সুন্দর। কিন্তু এক থায় বোধ হয় সকলের মন উঠবে না। লৌহ খুব কাজের জিনিষ, ধাতুজ পদার্থের মধ্যে ইহার মতন নিত্য ব্যবহাৰ্য্য পদার্থ দ্বিতীয় নাই । কিন্তু ইহাকে সুন্দর বলিবে কে ? জীর্ণ তৃণঘাসে ঘরের ছাউনি হয়, কয়জন ইহাকে সুন্দর বলে ? জ্বালানি কাষ্ঠ অতি প্রয়োজনীয়, কিন্তু কে ইহা সুন্দর দেখে ? তবে সুন্দরের এইরূপ সংজ্ঞা দেওয়া যাইতে পারে ;-যাহা চক্ষুরাদি জ্ঞানেন্দ্ৰিয়ের আহলাদ জন্মাইয়া, চিত্তের অপূৰ্ব্ব বিকাশ ও আনন্দ উৎপাদন করে, যাহা উপকারক, তাঙ্গা সুন্দব। বালসুৰ্য্য, পূৰ্ণচন্দ্ৰ, সুন্দর। ইহারা চক্ষুর প্রীতি সাধন করিয়া চিত্তকে প্ৰফুল্ল করে। ইহারা জগতের উপকারক। গ্ৰীষ্মাবসানে মেঘগৰ্জন কর্ণের প্রীতি জন্মাইয়া মনের আনন্দ বিধান করে, উপকারার্থ উদিত মেঘের বারিবর্ষণ সুচনা করে। ইহা সুন্দর । বাহিরের রূপ, যাহা চোখে দেখিতে ভাল, তাহাই সুন্দর, অজ্ঞ লোকের এইরূপ ধারণা। কিন্তু জ্ঞানের ন্যায় সৌন্দৰ্য্যও পাচ ইন্দ্ৰিয় ভেদে পাঁচ প্রকার। যথা, চাক্ষুষ, শ্রাবণ, রাসন, ভ্রাণ ও ত্বাচু। তবে চক্ষু পাচ ইন্দ্ৰিয়ের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বলিয়াই অজ্ঞ লোকের এইরূপ বোধ । আন্তর সৌন্দর্ঘ্যের প্রতি অল্প লোকেরই দৃষ্টি আছে। ভগবান পূর্ণ-অনন্তসুন্দর। র্তাহার বিরচিত বিশ্বের কোন পদাৰ্থই অসুন্দর হইতে পারে না। তবে যে আমরা সকল পদাৰ্থই সুন্দর দেখি না, আমাদের অপূর্ণ তাই ইহার কারণ। অনুবীক্ষণ সাহায্যে ক্ষুদ্র মক্ষিক। যে কত সুন্দর, তাহা বুঝা যায়। অন্তদৃষ্টিশক্তি সম্যক दक्रिङ, ও সৌন্দৰ্য্য জ্ঞানের স্বাস্থ্য