পাতা:পূজা ও সমাজ - অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/১৪৩

পূজা ও সমাজ । እ (eዕGr কর, সমুচিত বিকাশ হইলে, বিশ্ব সৌন্দৰ্য্যময় বলিয়া প্ৰতীতি হওয়া नgद* । প্ৰাকৃতিক নিয়মের বৈষম্যে, শিক্ষা ও জ্ঞানের তারতম্যে, ভিন্ন ভিন্ন সমাজে, কাল, পাত্র ও অবস্থা ভেদে সৌন্দৰ্য্যজ্ঞানের বৈলক্ষণ্য দেখা যায়। ইংলণ্ড শীতপ্রধান দেশ, সেখানে উষ্ণতা, তাপ বড়ই সুন্দর, বড়ই মধুর। কাব্যসাহিত্যেও এই দুষ্ট শব্দের (warmith, heat) মধ্যে একটা মাধুৰ্য্য ও আকর্ষণ আছে। কিন্তু গ্রীষ্মপ্ৰধান ভারতে শৈত্যের প্ৰতি অনুরাগ স্বাভাবিক । কাব্যেও শীতল শব্দের একটা প্ৰাণ-মনশীতলকারী সরসতা আছে, রসাভাব আছে। ভারতে শৈত্য প্রতিপ্ৰদ, সুন্দর। পাশ্চাত্যদেশে নবদম্পতির নিঃসঙ্কোচ বিহার, বঙ্গদেশে বর-বধূর সঙ্কুচিতভােব সুন্দর। মাতালের নিকট বোতলের লাল জল কেমন সুন্দর, সুপেয় । সংযমীর নিকট ইহা কুৎসিত, অপেয়। উচ্ছঙ্খল, কলুষিতচিত্ত যুবকের নিকট থিয়েটারের আদিরসাfশ্রত সঙ্গীত কেমন সুশ্রাব্য, সুন্দর! চরিত্রবান জিতেন্দ্ৰিয় যুবার কাছে উহা অশ্রাব্য, কদৰ্য্য । সুন্দরের উপাসনা অল্পাধিক পরিমাণে অনেকেই করে ও করিতে চায়। কিন্তু শিশুর সুন্দর মাটির পুতুল যুবার চিত্তাকর্ষক নহে। অসভ্য নাগ-কুকির পক্ষিপালকাদিতে রুচি সভ্যতার বাতাসে উড়িয়া যায়। আবার, সভ্যসমাজেও শিক্ষার দোষে কুৎসিত সুন্দর হয়, সুন্দর কুৎসিত হয়। পবিত্ৰত জিনিষটা সুন্দর। একথায় কেহই দ্বিরুক্তি করিবেন না । কিন্তু একের চক্ষে যাহা পবিত্র, অন্যের চক্ষে তাহাই অপবিত্ৰ হইতে পারে। এই প্রকারে সুন্দর-কুৎসিত লইয়া লোকসমাজে মতভেদ ঘটে । কোন কোন লোক বা সমাজ এই অবস্থায় সুন্দরের উপাসনা করিতে যাইয়া কুৎসিতেরই ভজনা করিয়া থাকে। ইহা অনিষ্টজনক । श्ङा९