পাতা:পূজা ও সমাজ - অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/১৪৯

*द्धि ७ कण्ठ्ठी ! S8S তাহা নয়। কৰ্ত্তব্যজ্ঞানে কৰ্ত্তব্যের সম্পাদন করিতে হইবে । ফলের আকাজক্ষ রাখিবে না। কাম শব্দে স্বাথ, নীচ ক্ষুদ্র স্বাৰ্থ, যাহা অমঙ্গলজনক । এই নীচম্বার্থ পরিত্যাগ করিয়া কৰ্ম্মে প্ৰবৃত্ত হইতে হইবে। উচ্ছঙ্খল দুষ্ট বাসনাকে দমন করিয়া শুভইচ্ছাকে জাগাইয়া কৰ্ম্মী হইতে হইবে। ঈশ্বর লাভের আকাজক্ষমাত্ৰ লইয়া যে প্রেমিক, ভক্ত বা জ্ঞানী তঁহার উপাসনা কাৰ্য্যে নিরত, তাহার কৰ্ম্ম সকাম কি নিষ্কাম ? সকাম বলিলে, নিষ্কাম কৰ্ম্ম সংসারে নাই, থাকিতে পারে না। নিষ্কাম। বলিলে, একেবারে যে কাম বা কামনা নাই, তাহা নয়। পরের দুঃখ দূর করিবার কামনা লইয়া যিনি পরোপকার করিতেছেন, তিনি নিষ্কাম কম্মেরই অনুষ্ঠান করিতেছেন। আমি জ্ঞানলাভ করিব, নিজের ও সমাজের উন্নতিসাধন করিব, পরের দুঃখ দুৰ্গতি দূর করিতে চেষ্টা করিব, এইরূপ কোন একটা বলবতী বাসনা লইয়া কৰ্ম্মক্ষেত্রে অবতীর্ণ হওয়া কোন ক্রমেই দূষণীয় হইতে পারে না। ভগবান কৃষ্ণের উপদেশের তাৎপৰ্য্য এই যে,-স্বার্থপরতা নিঃশেযে পরিত্যাগ কর, ক্ষুদ্র স্বার্থে বলি দাও, উদার স্বাৰ্থ লইয়া কৰ্ম্মক্ষেত্রে প্রবেশ কর, মঙ্গল হইবে। কৰ্ম্ম করিতে গেলেই ইচ্ছার প্রয়োজন । শ্ৰীকৃষ্ণের স্পষ্ট উপদেশ এই যে, কৰ্ম্ম একর, আমার প্ৰিয়কৰ্ম্ম কর । কৰ্ম্ম সম্পাদনে ধৰ্ম্ম, কৰ্ম্ম ত্যাগ ধৰ্ম্ম নহে। কৰ্ম্ম কি ? “ক্রিয়তে যৎ তৎ কৰ্ম্ম।” যাহা করা যায়, তাহাই কৰ্ম্ম । কৰ্ম্মের এইরূপ অৰ্থ গ্ৰহণ করিলে কৰ্ম্মকে মোটামোটী তিনভাগে বিভক্ত করা যাইতে পারে। যথা (১) উত্তম কৰ্ম্ম, যেমন পরোপকার, (২) অধম কৰ্ম্ম, যেমন পর্যদ্রব্য হরণ ; (৩) না-উত্তম না-অধম, যেমন মানভোজন । কিন্তু প্রকৃতপক্ষে অধম কৰ্ম্মকে কৰ্ম্ম বলা যায় না। যাহা করা একান্ত দরকার, যাহা না করিলে লোক তিষ্টিতে পারে না, যাহা না করিলে আত্মরক্ষা ও আত্মপ্ৰতিষ্ঠা হয় না, যাহার পরিণাম ফল শুভ, তাহা কৰ্ম্ম ।