পাতা:পূজা ও সমাজ - অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/১৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কি শিখিব ? আমরা এখানে কি শিখিতে আসিয়াছি ? কি শিখিব ? বিশ্বমানবের এই প্রশ্নের উত্তরে প্রকৃতিদেবী নীরদ - গাষায় বলিবেন- এই বিশ্ব একটি প্ৰকাণ্ড জীবন্ত বিদ্যালয়, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে তোমরা মনুষ্যত্ব শিক্ষা করিবে । তোমরা মনুষ্যদেহ লইয়া জন্মগ্রহণ করিয়াছ, মানুষ হইতে শিখিবে । যাও ঐ অলংলিহা, তু, বিল শৈলীরাজের নিকট, কত অমুল্য রত্ন লাভ করিতে পারিলে। ঐ যে কল্লোলিনী কলকলনদে শুমলতটপ্রান্ত চুমিয়া কার প্ৰেমে কোথায় ছুটিয়া যাইতেছে, উহার নিকট কত প্রেমের কথা শিপিতে পরিবে। ঐ যে ভীষণ শ্বাপদসংস্কুল নিবিড় অরণ্যানী, ঐ যে উদ্ধে মহাবোমা , ঐ যে নীল ফেনিল মহাসিন্ধু, ঐ রবি-শশী, ঐ তারা, তারা তোমাদ ... .*- দনরাত কত কি মধুর-গভীর উপদেশ দিবার জন্য আহবান করিতেছে । পৰ্ব্বত-প্ৰান্তর, সরিৎ-সমুদ্রের সহিত বন্ধুত্ব স্থাপন কর । পৰ্ব্বতের সাহিত প্ৰেমালিঙ্গন কর, নদীকে ভাল করিয়া চিনিয়া লাও, সরোবরের কমলিনী, কুমুদিনী লইয়া খেলা কর, গ্ৰহনক্ষত্রের গতিবিধি পৰ্য্যবেক্ষণ করা। ইহাতে তোমাদেব মানসিক বৃত্তির সু নদীর বিকাশ হইবে, দেহ-মন সুস্থ ও প্ৰফুল্ল থাকিবে । আবার, বহুদিচিত্র মানব সমাজে বৈচিত্ৰপূৰ্ণ মানবচরিত্র অধ্যয়ন করিতে থাক, অভিজ্ঞতা লাভ হইবে । শিশুর আকারণ হাসি-কান্না, থলের খলতা, সাধুর পবিত্ৰতা, কামিনী পদায়ের কমনীয়তা দেখিয়া-শুনিয়া হরযে বিহবল ও বিস্ময়ে অভিভূত হইবে । পিপীলিকা হইতে মদমত্তমাতঙ্গ প্রভৃতি ক্ষুদ্র-বৃহৎ সকল প্ৰাণীর নিকট জ্ঞান অর্জন का, ५छ| হইতে পরিবে ।