পাতা:পূজা ও সমাজ - অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/১৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৫৬ পূজা ও সমাজ । মনুষ্যত্ব জিনিষটা কি ? আমি ধনী জমিদার, তা হইলেই আমি BDD DBDBD DS S DBBDS BBBDDS DBDSuBB Dt DBDDBBB K ঢালিয়া দিয়া পশুর ন্যায় কেবল ইন্দ্ৰিয়াচরিতার্থ করিতেছি, তোমরা আমাকে মানুষ বলিবে কি ? তবেই, মনুষ্যত্ব ধনসম্পদে প্রতিষ্ঠিত নহে। আমি অতি উচ্চবংশে জন্মিয়াছি, আমি কুলীন, তা বলিয়াই কি আমি মানুষ হইলাম ? এদিকে কিন্তু, কুলীন হইয়া কুকাৰ্য্যে রত, গঞ্জিকাসেবনে ব্যস্ত ! তবেই বলিতে হয়, মনুষ্যত্ব কুলমৰ্য্যাদামূলক নহে। আমি বিদ্বান, অনেক বিদ্যা ও উপাধি লাভ করিয়াছি, কিন্তু চিরদিনের জন্য স্বাস্থ্য তারাইয়াছি, চির রুগ্ন হইয়া অকৰ্ম্মণ্য হইয়া পড়িয়াছি। এ অবস্থায় কে আমাকে মানুষ বলিবে ? বস্তুতঃ বিদ্যা ও উপাধির উপর মনুষ্যত্ব নির্ভর করে না । মনুষ্যত্ব জাতিবর্ণগত নহে, দেশকালে সীমাবদ্ধ নহে। তুমি আমি সকলেই মনুষ্যত্বের অধিকারী, ইহা কাহারো একচেটিয়া নিচে । মধুতে মধুরতা না থাকিলে মধুই নয়, অগ্নিতে উত্তাপ না থাকিলে অগ্নির অস্তিত্বই থাকে না । সেইরূপ, মনুষ্য-আকৃতিতে মনুষ্যত্ব না। থাকিলে মনুষ্যই নয়। একখানি জলন্ত কাষ্ঠখণ্ডকে অগ্নি বলি, কারণ তাহাতে দগ্ধ করিবার শক্তি আছে। আগুণ নিভিয়া গেলে, ছাই-ভস্ম, অঙ্গার বলি। সেইরূপ, মানুষের মধ্যে এমন কিছু আছে, যাহা না থাকিলে, সে, ছাই ভস্ম অঙ্গারের মতন একটা হেয়, তুচ্ছ অপদার্থ। সেই কিছুই মনুষ্যত্ব। মনুষ্যত্ব বলিতে মানুষের শক্তি বা গুণের সমষ্টি বুঝায়। মানুষের দুইভাগ-বাহির ও ভিতর, শরীর ও অন্তর। এই দুই লইয়াই মানুষ, এ দুয়েরই সম্যক উন্নতিতে মনুষ্যত্ব । শারীর ও আন্তর শক্তির স্বাস্থ্যকর বিকাশে মনুষ্যত্ব। জ্ঞান, দয়া, প্রতি প্ৰভৃতি সদবুত্তিসমূহের দিব্য স্ফুরণে ও ক্ৰোধ-লোভাদি অসদুর্বৃত্তির দমনে মনুষ্যত্ব। চরিত্র মনুষ্যত্বের পরিচায়ক । সত্যানুরাগ, সৎসাহস, কৰ্ত্তব্যনিষ্ঠা