পাতা:পূজা ও সমাজ - অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/১৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গুণের পূজা । Gły আকাঙ্ক্ষা জাগিয়াছিল! চুম্বকাকর্ষণের ন্যায় গুণের আকর্ষণে দুজনেই কেমন আকৃষ্ট হইয়াছিলেন। লক্ষ্মণতনয় বীর চন্দ্ৰকেতু, মহর্ষি বাল্মীকীির আশ্রমে আগত, অজ্ঞাত লবের বীরত্বে কেমন মুগ্ধ হইয়াছিলেন, বীরত্বের মৰ্য্যাদা কেমন রক্ষা করিয়াছিলেন, তাহ সংস্কৃতজ্ঞ ব্যক্তি মাত্রই অবগত আছেন । ইহা কাব্যের কথা হইলেও গুণীসমাজে এরূপ হওয়াই স্বাভাবিক। কৃষ্ণাৰ্জ্জুন উভয়েই উভয়ের গুণে মুগ্ধ। ইহাদের সখ্যভাব কি অকৃত্রিম, কি পবিত্ৰ-মধুর। আবহমানকাল হইতে সকল স্বাস্থ্য-সভ্য সমাজেই গুণের আদর হইয়া আসিতেছে। গুণের পূজা না থাকিলে মনুষ্যসমাজ পশু: সমাজে পরিাণত হইত। রাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ, যীশু, মহহ্মদ, চৈতন্য কেহই অমৰত্ব লাভ করিতে পারিতেন না, কেহই লোকপূজা পাইতেন না । মানবসমাজেরও পশুত্ব ঘুচিত না। যাচারা গুণের পক্ষপাতী, তাহারাৎ ঈদৃশ মহাস’টি গোর ভক্ত এবং তাহারাই ইহাদের চরণে ভক্তিপুষ্পাঞ্জলি দিয়া থাকেন ! মানবসমাজ যেমন গুণেব নিকট তেমন গুণগ্ৰাহীর নিকট ও অশেষ 에 한해 1 উদ্যানপ্রিয়, রসজ্ঞ ব্যক্তি যেমন নানা স্থান হইতে নানা সুগন্ধি ফুলের গাছ আনাইয়া সযত্নে নিজের বাগানে রোপণ করে, সেইরূপ গুণজ্ঞ মহারাজ বিক্ৰমাদিত্য, নানা জনপদ, নগর হইতে আহরণ করিয়া নবরত্ন প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলেন বলিয়া, লোক চক্ষুর অন্তরালে কোথায় লুকাইয়া থাকিয়া, এখনও কোন কোন রত্ন আমাদিগকে আলোক বিতরণ করিতেছে। মহামনা আকবর গুণীলোকদিগকে স্বীয় রাজধানীতে সমাদরে আশ্রয় প্ৰদান করিয়া গুণগ্ৰাহিতার পরিচয় দিয়াছেন । তদীয় সমাজ উপকৃত হইয়াছে। ঈদৃশ গুণগ্ৰাহী মহানুভদ ব্যক্তিগণের নিকট মানবসমাজ বিশেষ উপকৃত ।