পাতা:পূজা ও সমাজ - অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/১৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গুণের পূজা । Kò পুণ্যশ্লোক জ্ঞানী, কবি ও কৰ্ম্মবীরগণ যে জ্ঞান, কাব্য ও চরিত্ররূপ অমূল্য সম্পত্তি ধরাধামে রাখিয়া অমরধামে চলিয়া যান, তাহা দ্বারা লোকসমাজ চিরকাল উপকৃত হইতে থাকে ও থাকিবে । সমাজ যদি সেই সম্পত্তি ভোগ না করে, তবে সমাজের ক্ষতি । গুণ বুঝিতে জ্ঞানের, মাথায় তুলিয়া লইতে হৃদয়ের প্রয়োজন। সুগন্ধি ফুল হাতে পাইয়া যদি তার গন্ধ কেহ না পায়, তবে তাহার ভ্ৰাণেন্দ্ৰিয়ের (দাষ জন্মিয়াছে, বুঝিতে হইবে । গন্ধ পাইয়াও যদি কাহারো হৃদয় প্ৰফুল্ল না হয়, তবে সে হৃদয়হীন । যে সমাজ গুণীর গুণ বোঝে না, বুঝিয়া আদর করে না, সেই সমাজের নিশ্চয়ই বিকার উপস্থিত হইয়াছে অথবা কিছুর অভাব হইয়াছে। অভাব-জ্ঞানের, অভাব-হৃদয়ের । পাশ্চাত্যসমাজে গুণের পূজার একটা বিপুল ঘটা হইয়া থাকে। এই বাহা আড়ম্বরের বিলক্ষণ উপকারিতা আছে। ইংলণ্ড, ফ্রান্স বা জৰ্ম্মানি, যে দেশেই কোন মহাত্মা কোন মহৎ কাৰ্য্যের অনুষ্ঠান করিলেন, তখনই সমগ্ৰ ইয়োরোপ প্ৰাণ খুলিয়া তাহার সন্মান-সম্বৰ্দ্ধনা করিয়া কৃতজ্ঞতা প্ৰকাশ করে ও গুণগ্ৰাহিতার পরিচয় দেয় । সমগ্ৰ uBDBD SDDDS SBBDBS BDBDBD DDD SBDBBDLS BBDBDS KBSS DBDLDDD সমাজের সজীবতা, বুদ্ধিমত্তা ও সহৃদয়ত প্ৰকাশ পায়। আর প্রকাশ পায়—পুরুষত্ব। কারণ, গুণে অনুরাগ পুরুষের একটা লক্ষণ। ব্যক্তিসকলও গুণী হইবার জন্য উৎসাহান্বিত হয়। কিন্তু এই হতভাগ্য দেশে কোন মহাত্মার আবির্ভাব হইলে, দেশে আদর না পাইয়া তঁহাকে বিদেশের শরণা লইতে হয়, বিদেশীর মুখপানে তাকাইতে হয়। ইংলণ্ড প্ৰভৃতি দেশে যদি তাহার প্রশংসা বাহির হইল, তখন আমরাও বলি, ই. ইহার গুণ আছে বটে, নহিলে ঐ সকল দেশ প্ৰশংসা করিবে কেন ? তখন বঙ্গদেশও দুর্বল ক্ষীণকণ্ঠে ষ্ঠাচার Σ Σ