পাতা:পূজা ও সমাজ - অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/১৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গুণের পূজা । SVS) সমাজে এরূপ দৃষ্টান্ত বিরল নাচে। মুর্থ, পামর পাপীকে সমাদর করিতে কাহারও স্বতঃপ্ৰবৃত্তি জন্মে না । কিন্তু সমাজ যদি বলপূর্বক জনসাধারণকে বলে,—মূর্ণিতা, দুশ্চরিত্রতা ও পাপকে আদর করিতেই হইবে, এবং সেই সমাজের লোকেরা, সেকালের গুরুমহাশয়ের লগুড়াঘাতের ন্যায় নিৰ্দয় কষাঘাত পৃষ্ঠে পতিত হইবে, এই ভয়ে তথাস্তু বলিয়া সমাজের শাসন মানিয়া চলে, তবে পাপ, মুখত সমাজবক্ষে সগৰ্ব্বে আম্ফালন করিয়া ভীষণমূৰ্ত্তি ধারণ করিবে। আর একদিকে নীচকুলো দুব মুর্থের পুত্ৰ বিদ্বান, অসাধুর পুত্ৰ সাধু হইয়া উঠিলেন ; তদীয় বিদ্যাবস্তু, সাধুতা তে দেখিয়া সমাজ সন্দি চোপ্ত রাঙা 秀 প্রভৃতি গুণে লোকের মন আরষ্ট হত। ইয়া, তৰ্জনী হেলাইয়া তৰ্জানগর্জন করিতে থাকে, আর লোকে পূৰ্ববং ভয়ে ভয়ে তদীয় গুণে অবজ্ঞা প্ৰদৰ্শন করে, তবে ঐ সদ গুণাবলী নিরাশ্রয় লতার ন্যায় সঙ্কুচিত, শুষ্ক হইতে থাকে। বংশমর্যাদার চিরস্থায়ী বন্দোবস্তে ক্রমে সমাজ-মধ্যে মুখতা, মিথ্যাচার প্রভৃতি দুশ্চরিত্ৰত তাণ্ডব t নৃত্য করিতে থাকে ; আর পবিত্রতা, সাধুতা শুকাইয়া মরিতে থাকে। কেননা পাপের শাসন নাই, সন্মান আছে। পুণ্যের আদর নাই, লাঞ্ছনা আছে । কিন্তু আশ্রয়-আন্দর পাইলে লতার ন্যায় গুণাবলী লতাইয়া লতাইয়া কেবল বৃদ্ধি পাইতে থাকে। কুলীনকুলের অন্যতম আদিপুরুষ বেণীসংস্কার নাটকের কবি ভট্টনারায়ণ কর্ণের মুখে বলিয়াছেন :- — ‘সুতো বা সুতপুত্রে বা যোবা স্তোবা ভবাম্যহম্।। দৈবায়ত্তং কুলে জন্ম মন্দায়স্তং তু পৌরুষম৷” একদিন অশ্বথাম ও কর্ণের মধ্যে কলহ বাধিয়া গেল। অশ্বথামা কর্ণকে সুত, সুতপুত্র, ছোটলোক বলিয়া গালি দিলে, কর্ণাবলিলেন,-