পাতা:পূজা ও সমাজ - অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/১৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Yoby- 颜 পূজা ও সমাজ । করিয়া গন্তব্য স্থানে যাইতে কত যত্ন, কত শ্রম করে, ভাবিলে বিস্ময় জন্মে। এই ক্ষুদ্রদেহে এত বল কে দিল ? উত্তর,-সাহস। আবার, কত পিপীলিকা দল বাধিয়া তাহার সাহায্যের জন্য কোথা হইতে আসিয়া উপস্থিত হয় । ইহারা প্ৰাণপাত করিবে, তথাপি আরবন্ধ কাৰ্য্য ছাড়িবে না। কোন কোন অঞ্চলে প্ৰাচীনারা এখনও দুধে চিনি দিবার সময়, পিপড়ে থাকিলে বালকদিগকে বলিয়া থাকেন,-খাও, পিপড়ে থাইলে বল হবে, সাঁতার শিখাবে। একথার অর্থ এই যে, তোমরা সকলে পিপীলিকার ন্যায় সাহসী হও ; পিপীলিকার সাহসে বুক বাধিয়া ংসার-সমুদ্রে সাতার দিতে শিখ ; শত তরঙ্গাঘাতে ভ্ৰক্ষেপ না করিয়া অধ্যবসায় ও সাহসের বলে সাতার দেও, কুল পাইবে । সাহসে দেহ ও মনে বল আসে, ভীরুতা বলা হরণ করে। তরুণ যুবক ফরিদ—যিনি উত্তর কালে সেরশাহ ऐछे9iाक्षि व्गशेझा ठ्ठीिद्ध दाङ्गभtiछ হইয়াছিলেন—সেই ফরিদ দ্বিতীয় যমস্বরূপ, ভীমকায় ব্যান্ত্রের নিকট বাইয়া তাকে নিদ্রা হইতে জাগাইয়া বধ করিয়াছিলেন। ইহাতে ফারিদের শারীরিক বিশেষতঃ মানসিক বলের কেমন পরিচয় পাওয়া যায় ; মামুদশার সৈন্যদলের মধ্যে প্রবীণ বীরপুরুষেরা কেহই বাঘের কাছে যাইতে সাহস পায় নাই। ইতাদের চেয়ে ফরিদের শরীরে বল বেশী না থাকিলেও মনের বল নিশ্চয় বেশ ছিল। বাঘ জাগিয়া যখন ভীষণ গর্জন করিয়া উঠিল, তখন দুল হইতে কত লোক ভয়ে প্রাণ লইয়া পলাইল। ফরিদ কিন্তু নিৰ্ভয়ে তরবারীন্দ্বারা বাঘের প্রাণ বিনাশ করিালেন, জিহবা কাটিয়া আনিলেন। ‘বনের বাঘে খায় না, কিন্তু মনের বাঘে খায়।" বনের বাবে আর কয় জনকে খায় ? বনে বাঘের সহিত দেখা সাক্ষাৎ অনেকেরই হয় না । কিন্তু মনের বাঘেই অনেকরে থাইরা ফেলে, অনেকের সৰ্ব্বনাশ করে ।